৩০ মিনিটের রাস্তা ৮ ঘণ্টাতেও শেষ হয় না!

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মোহাম্মদ আলী থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পথে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। বুধবার (৯ মে) রাত ১২টা থেকে সৃষ্ট এ যানজটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক।

আজ শনিবার (১২ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত এ যানজট ছাড়েনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।

চট্টগ্রামমুখী গাড়িগুলো কিছুটা ধীরগতিতে এগোলেও ঢাকামুখী কোনো গাড়িই নড়ছে না। সড়কে আটকা পড়ে আছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ কয়েক শ গাড়ি।

এদিকে যানজট এড়াতে কিছু বাস ও ট্রাক মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট করেরহাট হয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার অতিরিক্ত রাস্তা অতিক্রম করে ফেনীর শহরে প্রবেশ করলেও মহাসড়কে প্রবেশ করতে পারছেনা বলে খবর দিয়েছেন চালকরা।

তারা বলছেন, সীতাকুন্ড এলাকায় উল্টো পথে যান চলাচল করায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। মহাসড়কের ফেনী অংশ পার হতে সময় লাগছে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এ রাস্তাটুকু পার হতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ফেনীর ফতেহপুর এলাকার লেভেল ক্রসিংয়ের ওভারপাস নির্মাণকাজের জন্য এ যানজট। তবে, যাত্রী ও গাড়িচালকদের অভিযোগ, হাইওয়ে পুলিশের ও ফেনী পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে এ ভোগান্তি।

শ্যামলী পরিবহনের চালক রাজন মিত্র অভিযোগ করে বলেন, ‘যানজট নিয়ন্ত্রণের নামে পুলিশ চাঁদাবাজি করছে। এ যানজট কখন থেকে শুরু হয়েছে, তা বলতে পারব না। আমি মিরসরাই সদরে ভোররাত চারটা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত আছি। গাড়ি এক চুলও নড়েনি।’

এস আলম পরিবহনের যাত্রী চট্টগ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মো.আলাউদ্দিন বলেন, গতকাল রাত ৯টায় ফকিরাপুল থেকে গাড়ি ছেড়েছে। সকাল ১০টা বাজে, এখনও চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারিনি।’

মহাসড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে না দাবি করে ফেনীর মহীপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ‘ফেনীর রেলগেট এলাকায় মধ্যরাত হলেই রাস্তায় যানজট শুরু হচ্ছে। সেখানে রাস্তায় উন্নয়নকাজ চলায় রাস্তা একমুখী করা হয়েছে। রাতে মালবাহী ট্রাকের চাপ পড়লেই এই যানজট তীব্র হয়।’

এদিকে চট্টগ্রামের বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসান হাবিব বলেন, ‘লরি ও ট্রাক চালকরা যানজটের জন্য অনেকাংশে দায়ী। যানজট দেখলেই রাস্তার পাশে গাড়ি ফেলে সরে পড়েন চালক, এতে রাস্তা সংকুচিত হয়ে যানজট তীব্রতা পাচ্ছে। উল্টো পথে গাড়ি চালানোও একটি বড় কারণ।’