৩৩৯ ভোট গুনতে সারারাত লাগল!

সদ্যই শেষ হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। ওই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয় ২৯ জানুয়ারি ভোর ভোর সাড়ে পাঁচটারও পর।

২৮ জানুয়ারি বিকাল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলেও কেন মাত্র ৩৩৯টা ভোটের গণনা করতে সারারাত লেগে গেল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন বলেন, আমাদের নির্বাচনের হিসাব–নিকাশ একদমই আলাদা। এটা খুবই জটিল নির্বাচন। হাতেকলমে করতে হয়। ২১ দিকে চোখ রাখতে হয়। জাতীয় নির্বাচন বা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের চেয়ে হিসাবটা কঠিন। আমাদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মোট ২১টি ভাগ করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, একটি করে ব্যালট পেপার বের করে দুই পক্ষের লোকদের দেখাতে হয়। ফলাফল খাতায় কী লেখা হলো, সেটা দুই পক্ষের আটজন দেখেন। আমাদের কার্যকরী পরিষদের ভোট নষ্ট হয়েছে ১০টি। অন্যদিকে সম্পাদকমণ্ডলীর ব্যালট পেপারে ভোট নষ্ট হয়েছে ২৬টি। কেন একটি ভোট বাতিল হলো, সেটা দুই পক্ষকে চার/পাঁচবার দেখানো হয়। যুক্তিতর্ক আছে। একাধিকবার হিসাব তো আছেই।

এতো সময় লাগার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, হাতে গণনার জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লোককে দায়িত্ব দেওয়া হলেও এর চেয়ে কম সময়ে ভোট গণনা সম্ভব না। আমরা ভোট দান শেষে নিজেদের জন্য অল্প কিছু সময় নিয়েছি। খেতে হয়েছে। ভোট গণনায় যেন তাড়াহুড়া না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হয়েছে। আপিল বিভাগে যেন কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখত হয়েছে। ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ ও মিশা-জায়েদের দুই পক্ষ ভোট গণনা নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন, তারপর আমরা ঘোষণা করেছি। তুলনামূলক গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারই সবচেয়ে কম সময় লেগেছে বলেও দাবি করেন পীরজাদা শহীদুল হারুন।

প্রসঙ্গত, এবার শিল্পী সমিতির মোট ভোটার ছিলেন ৪২৮ জন। তাদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৩৯ জন। ভোট দেওয়ার জন্য দুটি করে ব্যালট পেপার ছিল। ভোট গণনার সময় উপস্থিত ছিলেন দুই পক্ষের আটজন অভিনয়শিল্পী।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার নির্বাচন করেন।