৪৭ বছরে কাজের সন্ধানে প্রবাসী হয়েছেন ১ কোটি ১১ লাখ
বিগত ৪৭ বছরে বন্যা, খরা ও কর্মসংস্থানের অভাবসহ নানা কারণে প্রায় ১ কোটি ১১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কাজের সন্ধানে বিদেশ গেছেন। এক্ষেত্রে প্রবাসী শ্রমিকরা যেন মানবপাচার ও নির্যাতন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেন এজন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং দ্য ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএইড) বৃহস্পতিবার চার পর্বের ভিডিও প্রদর্শন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রতারিত কর্মীরা ছাড়াও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের প্রধান কনস্যুলার ক্যারেন হেইমসোথ, আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান শরৎ দাস, আইওএম এক্স’র প্রোগ্রাম লিডার তারা ডরমোট, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার রাহনুমা সালাম, এটিএন বাংলার অ্যাডভাইজর (প্রোগ্রাম) নেওয়াজিশ আলী খান, ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মাসুদ আলী, অভিবাসীকর্মী উন্নয়ন প্রকল্পের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম, বাংলাদেশি অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএমএসএ) নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, রবির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট শরিফ শাহ জামাল রাজ, রেডিও টুডের হেড অব সেলস মো. বুলবুল হোসাইন এবং মার্কিন দূতাবাস ও আইওএম বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সঠিক ভিসা ছাড়া বাংলাদেশি অভিবাসীরা কর্মক্ষেত্রে তাদের চাকরিদাতাদের কাছ থেকে দেরিতে কিংবা মজুরি না পাওয়া, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, চলাফেরায় বিধিনিষেধ, চুক্তি লঙ্ঘন, চিকিৎসা না দেয়া, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন এবং প্রতিকূল কাজের পরিবেশের মতো বৈষম্যের শিকার হতে পারেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রবাসে থাকা অবস্থায় সবধরনের নির্যাতন প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপের সঙ্গে আছে বাংলাদেশ সরকার। আইওএম নির্মিত এসব ভিডিও বাংলাদেশিদের জন্যই বানানো হয়েছে। বিদেশে নিরাপদে কাজের জন্য সঠিক ভিসা অপরিহার্য। আমরা আইওএম এক্স’র এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই, যাতে করে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসীরা দেশত্যাগের আগে তাদের ভিসা যাচাই করে নিতে পারেন।
আইওএম এক্স রোড শো’র সঙ্গে জড়িত সহযোগীদের প্রচেষ্টায় সফলভাবে আইওএম এক্স রোড শো করা সম্ভব হয়েছে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ইউএসএইড, অভিবাসীকর্মী উন্নয়ন সংস্থা ও জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও)। এছাড়া আইওএম এক্স এ মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে এটিএন এবং সহযোগী হিসেবে আছে রবি ও রেডিও টুডে এবং ক্রিয়েটিভ এজেন্সি হিসেবে রয়েছে এশিয়াটিক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন