৪৮টি অত্যাধুনিক চীনা ড্রোন কিনছে পাকিস্তান

ভারত রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চুক্তি করার কয়েক দিনের মাথায় চীনের তৈরি ৪৮টি অত্যাধুনিক ড্রোন কেনার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তান বিমান বাহিনীর শেরডিলস অ্যারোবেটিক টিমের অফিসিয়াল ফেসবুক একাউন্টের উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার এ খবর দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস।

কত টাকা ব্যয়ে ‘উইং লুং-টু’ নামের এই ড্রোন কেনা হচ্ছে, তা অবশ্য খবরে জানানো হয়নি।

পাক বিমান বাহিনী সূত্র জানায়, পাকিস্তানের অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স কামরা ও চীনের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন স্মমিলিতভাবে এই ড্রোন তৈরি করবে।

কবে এই চুক্তি করা হয়েছে, তাও জানায়নি সংশ্লিষ্ট চীনা কোনো সূত্র।

উইং লুং-টু গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার আকাশে উড়েছিল বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিংহুয়া।

সিংহুয়া গত ডিসেম্বরে জানিয়েছিল, উইউং লুং-টু প্রথমবার আকাশে ওড়ার আগেই অন্য একটি দেশের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চীনা ড্রোন কেনার একটি অর্ডার তারা পেয়েছিল। কিন্তু, কারা ওই ড্রোনগুলো কিনবে, তা তখন প্রকাশ করা হয়নি।

খবরে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, উইং লুং-টু সিস্টেমে ভূমিতে স্টেশন ও বিভিন্ন উড়ন্ত যান রয়েছে।

সামরিক বিশেষজ্ঞ সং ঝংপিং গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, ৪৮টি ড্রোন বিক্রির চুক্তি এখন পর্যন্ত চীনের তৈরি ড্রোন রফতানির সর্ববৃহৎ চুক্তি।

ঝংপিং আরও বলেন, অ্যানরোবেটিক দল এই চুক্তিতে জড়িত থাকাটা স্বাভাবিক। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, তারা ড্রোন অপারেটরদের প্রশিক্ষণও দেবে।

সামরিক ক্ষেত্রে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যকার ঘনিষ্ঠতার কারণে এই চুক্তির খবর বিশ্বাসযোগ্য বলে মন্তব্য করেন ঝনংপিং।

মার্কিন ড্রোন এমকি-১ প্রিডেটর ও এমকিউ-৯ রিপার প্রযুক্তিগতভাবে উন্নততর হলেও, তারা এগুলোর রফতানি সীমাবদ্ধ রেখেছে। চীনের ড্রোনগুলো পরিচালনা করার খরচও কম হওয়ায় এগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে অধিক সফল হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।