৭ দিন পর বেনাপোল দিয়ে পাথর আমদানি শুরু

সাত দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ বন্ধ থাকায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে শত শত পাথরবাহী ট্রাক আটকা পড়ে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারত থেকে যেসব পাথর আমদানি হয়ে আসে, সেগুলো বন্দরের বাইরে খালাস হতো। পাথরের ট্রাক খালাস করার সময় ভারতীয় চালক, সহকারীরা (হেলপার) স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়। ভারতে করোনার প্রভাব বেশি হওয়ায় ভারতীয় ট্রাকচালক ও সহকারীদের মাধ্যমে করোনা যাতে ছড়াতে না পারে সে কারণে পাথরের গাড়ি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছিল।

তিনি জানান, এছাড়াও বেনাপোল পৌর ট্রাক টার্মিনাল ও বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের ১০০ টাকার চাঁদা নেওয়ার প্রতিবাদ করে আসছিলেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে গত বুধবার (১৬ জুন) থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে বেনাপোলের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ভারতীয় ট্রাক চালকরা পাথর খালাস করতে আমদানিকারকের টার্মিনালে গেলে আগে ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনকে গাড়িপ্রতি ১০০ টাকা চাঁদা দেওয়া লাগতো। পৌর ট্রাক টার্মিনাল চালু হওয়ার পর থেকে এসব গাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। মূলত এই চাঁদাকে কেন্দ্র করেই পাথর বাইরে খালাস করা নিয়ে বিভিন্ন দফতরে নানা কথা বলা হয়েছে। এসব জটিলতায় ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

ভারতের পেট্রাপোল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, বেনাপোল বন্দর এলাকার দুটি সংস্থার দ্বন্দ্বের কারণে ভারত থেকে পাথর রফতানি গত বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের উদ্যোগে আজ সকাল থেকে আবার চালু হয়েছে।

বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, এখন থেকে বন্দর এলাকা থেকে ভারতীয় পাথর বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশি চালকরা এনে টার্মিনালে খালাস করবে। প্রতিদিন ভারত থেকে ১০০-১২০ ট্রাক পাথর আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে।