কৃষিমন্ত্রীর সাথে ডাচ কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সোমবার (৪ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের কৃষিমন্ত্রী Henk Staghouwer এর সাথে সে দেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৃষিপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
ডাচ কৃষিমন্ত্রী ফ্লোরিয়াডে এক্সপোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এর ফলে নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ হতে আগত দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং পণ্যের ব্যাপ্তি ও বহুবিধ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারছে।
কৃষিমন্ত্রী ডাচ কৃষিমন্ত্রীকে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সম্প্রতি দি হেগ-এ ডাচ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অংশীদারিত্বে সফলভাবে আয়োজিত এগ্রি-বিজনেস কনক্লেভ এবং অংশগ্রহণকারী ডাচ অ্যাগ্রো-বিজনেস কোম্পানিগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। ড. রাজ্জাক ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর ফলপ্রসূ বৈঠক সম্পর্কেও ডাচ কৃষিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্যভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। চালসহ কিছু প্রধান খাদ্যশস্য, শাকসবজি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ইত্যাদি উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী শীর্ষ দশে রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জটিলতা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরিত করতে মনোযোগী। এর মধ্যে কৃষিকে জলবায়ু-সহনশীল করা, রাসায়নিক সার ও পানির ব্যবহার কমানো, ডিজিটালাইজড উৎপাদন ও বন্টন, কৃষি-লজিস্টিক খাতকে উন্নত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা ও পরিবর্তন আনতে নেদারল্যান্ডসের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী। মন্ত্রী ডাচ কৃষিব্যবসা এবং কৃষিপ্রযুক্তি বাংলাদেশে আকৃষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাস হতে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নওরিদ শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন সকালে কৃষিমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের ইমেলুর্ডে শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রপ্তানিযোগ্য জাতের আলু উৎপাদনের মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠ পরিদর্শনে আলুর বীজ উৎপাদন এবং আলুর বীজের গুনাগুণ নির্ণয় ও সত্যায়ন সংক্রান্ত ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আলু উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু বাজারজাতকরণে সমস্যা রয়েছে। শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রপ্তানিযোগ্য জাতের আলু চাষ করতে পারলে এ সমস্যা কেটে যাবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রপ্তানিযোগ্য বেশ কিছু জাতের আলু নেদারল্যান্ডস থেকে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আনা হয়েছে, যেগুলোর পরীক্ষামূলক আবাদ শেষ হয়েছে এবং এখন কৃষক পর্যায়ে নেয়ার কাজ চলমান আছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন