মেয়ের বিয়েতে খরচ বেশি, তাই গলা টিপে হত্যা!
আরবের অন্ধকার যুগে কন্যা শিশুকে হত্যা করা হতো। তার কারণ ছিলো বড় হয়ে ওই কন্য অন্যপুরুষের ভোগের বস্তু হবে বা বংশের মুখে চুন-কালি দিবে। কিন্তু, এই আধুনিক যুগে এসেও কন্যা শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে, তার কারণ হলো কন্যাকে লালন-পালন করতে নাকি খরচ বেশি হয়। এমনি এক অভিযোগে ভারতের এক কৃষক তার মেয়েকে হত্যা করেছেন।
গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে তিন বছরের মৌসুমিকে হত্যার অপরাধে আটক করা হয় তার বাবা রঘুনাথ সিংকে।
মৌসুমির মা সন্ধ্যা জানান, মেয়ে হয়েছে বলে সংসারে নানা ধরনের অশান্তি করতেন রঘুনাথ। তিন বছরের মেয়েকে কারণে-অকারণে মারতেন তিনি। সব সময় অভিযোগ করতেন, ছেলে হলে রোজগার করতে পারত। মেয়ের বিয়ে দিতে অনেক খরচ হবে। ওকে গলা টিপে মেরে ফেললে ভালো হতো বলেও মন্তব্য করতেন রঘুনাথ। গত শনিবার কাজ করতে বাইরে যান সন্ধ্যা। বাসায় এসে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কী হয়েছে জানতে চাইলে রঘুনাথ জানান ‘কীটনাশক’ খেয়েছে। এরপর মেয়েকে নিয়ে ঝাড়গ্রাম সুপার হাসপাতালে যান তাঁরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌসুমিকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশুটির গলায় হাতের আঙুলের ছাপ দেখে ডাক্তারদের সন্দেহ হয়। তারা রঘুনাথকে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশি জেরার মুখে রঘুনাথ হত্যার কথা স্বীকার করেন।
শনিবার রাতে বেলিয়াবেড়া থানায় রঘুনাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্ত্রী। ঝাড়গ্রামের এসপি অভিষেক গুপ্ত জানান, খুন ও তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে রঘুনাথের বিরুদ্ধে।
২০১১ সালে সন্ধ্যার সঙ্গে রঘুনাথের পরিবারিকভাবেই বিয়ে হয়। এর পর তাকের ঘরজুড়ে কন্যা সন্তান আসে। সূত্র: এনডিটিভি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন