ইফতারের আগে ব্যায়াম করুন
মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র মাস রমযান। এ মাসে রোজা পালন নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কৌতূহলের যেন শেষ নেই। সারা বছর না পারলেও রমযানে রোজা রাখা এবং ধর্মীয় বিভিন্ন কাজে সবারই আগ্রহ থাকে। এমনকি অসুস্থদের মধ্যেও অনেকেই রোজা রাখতে চান। তবে তাদের রোজা রাখা উচিত হবে কি না, সেটা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই।
অন্যদিকে কেউ কেউ রোজা না রাখার জন্য নানা অজুহাত তুলে ধরেন। রোজা রাখলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যাবে, কারো আবার ওষুধ খেতে অসুবিধা হবে বলেও রোজা রাখেন না। যারা অত্যধিক মোটা, একটু পাতলা হওয়ার আশায় রোজা রাখেন। আবার শারীরিকভাবে দুর্বল কিংবা শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেকে রোজা রাখতে চান না। প্রকৃতপক্ষে রোজা নিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য ভাবনার শেষ নেই।
আসন্ন রমযানে স্বাস্থ্য সচেতনদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন শরীরচর্চাবিদরা। তারা বলছেন, সকালে শারীরিক ব্যায়ামের পরিবর্তে রমযান মাসে ইফতারের আগে আধ ঘণ্টা ব্যায়াম বেশি কাজে দেয়। কারণ সকালে ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী হলেও রোজা থাকা অবস্থায় ব্যায়াম করলে তা শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি করে।
সারাদিনের কাজে এমনিতেই অনেক পানি শূন্যতা দেখা দেয়; সেকারণে রোজার মাসে সকালের পরিবর্তে ইফতারের আগে ব্যায়াম করা ভাল। এতে করে ব্যায়াম করার কিছুক্ষণ পরেই শরবত, পানি, ফল খেয়ে শরীরের পানি শূন্যতা দূর করা যায়। ভারতের হায়দরাবাদের শরীরচর্চাবিদ ও জিম প্রশিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ রোজাদারদের জন্য এসব পরামর্শ দিয়েছেন।
যারা খেলাধুলা করেন, তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও রমযান মাসে রোজা রাখা বেশ উপকারী। চর্বি ঝরিয়ে আকর্ষণীয় পেশী বানানোর সর্বোৎকৃষ্ট সময় রমযান। প্রতিদিনের কাজের পাশাপাশি রোজা রাখলে দ্রুত চর্বি ঝরে যায়।
পুষ্টিবিজ্ঞানী স্বীতা বলেন, চর্বি ঝরানোর জন্য রমযানে রোজা রাখা সর্বোত্তম উপায়। কিন্তু লোকজন ভাবে রোজা রাখলে দ্রুত শরীর পানিশূণ্য হয়ে যাবে। এ নিয়ে কাউকে ভীত না হওয়ার উপদেশ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে রোজা রেখে পুনরায় ইফতারের পর একই কাজ করলে ওজন কমানো আর চর্বি ঝরানোর ইচ্ছা একেবারেই জলে যাবে। রোজা রেখে স্বাভাবিক থাকাটাই সব থেকে কাজের বলে মনে করেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন