পুত্রবধূকে ধর্ষণ করায় স্বামীকে হত্যা করলেন শাশুড়ি
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ার সংলা গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। নয় মাস আগে গ্রামের গুলবার খান নামে এক ব্যক্তি তার ছেলেকে বিয়ে করান। বিয়ে করার পর সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ নিতে ছেলেটি চলে যায় অন্য শহরে।
ছেলের অনুপস্থিতিতে গুলবার খানের চোখ পড়ে পুত্রবধূর ওপর। এক পর্যায়ে নতুন পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেন তিনি। পুত্রবধূও ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ভ হয়ে যান।
এরপর কয়েক মাস ধরে ওই পুত্রবধূর ওপর চলে নির্যাতন আর হেনস্থার ঘটনা। এক পর্যায়ে শ্বশুরের এই নির্যাতনের কথা পুত্রবধূ তার শাশুড়ি বেগম বিবিকে জানান। বাবার কুকীর্তির কথা জেনে যান ছেলেও।
কিন্তু কোনোভাবেই নিবৃত্ত করা যাচ্ছিল না শ্বশুরকে। অবশেষে ছেলে তার মা বেগম বিবিকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে বলেন। তাছাড়া প্রশিক্ষণ শেষ হলেই তিনি বউকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন বলেও হুমকি দেন।
নিরূপায় বেগম বিবি আর কী করবেন? অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন স্বামীকে শেষ করে দেয়ার। পরিকল্পনা মাফিক গেল বৃহস্পতিবার পুত্রবধূর সহায়তায় শাশুড়ি বেগম বিবি রাতের বেলা ঘুমন্ত অবস্থায় নির্যাতিতার শ্বশুর ও নিজের স্বামী গুলবার খানকে গুলি করে হত্যা করেন।
বেগম বিবির অভিযোগ, সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছেলের অনুপস্থিতে তার পুত্রবধূকে বারবার জোরপূর্বক ধর্ষণ ও হেনস্তা করছিলেন তার স্বামী গুলবার খান। বেগম বিবির দাবি, পারিবারিক সম্পর্ককে অসম্মান করার জন্য এমন সাজা প্রাপ্য ছিল গুলবারের।
স্বামীর অপরাধের কথা বর্ণনা করে বেগম বিবি স্বীকারোক্তিতে পুলিশকে আরো বলেন, ‘আমি বারবার বলার পরও তিনি যখন খারাপ অভ্যাস ছাড়েননি, তখন তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নির্যাতিতার স্বামী জানান, তিনি জানতেন তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু বাবাকে কিছু বলতে পারেননি। মাকে জানিয়েছিলেন, তিনি প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন। এর পরেই মা বেগম বিবি এ সিদ্ধান্ত নেন।
বেগম বিবি ও তার পুত্রবধূকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে ‘পারিবারিক সম্মান রক্ষার নামে হত্যা’র এ ঘটনা হঠাৎ ঘটলেও এমন নজির পাকিস্তানে বিরল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন