খালেদার উদ্যোগে নতুন হাত পেলেন দুই কর্মী

একজন দিদারুল আলম সুমন। গুলশান থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি। অন্যজন মমতাজ উদ্দিন খান। পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক জিএস। এই দুই বিএনপি কর্মীরই দুটি হাত নেই।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের হামলায় দুই হাত হারিয়েছেন সুমন। আর মমতাজের দুই হাত কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

হাত না থাকলেও দলের কর্মসূচিতে দেখা যায় তাদের। বিষয়টি বিএনপি চেয়ারপারসনের নজরে এলে তিনি দুজনকে ডেকে বিস্তারিত শুনে তাদের জন্য কী করা যায় তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন দুই বিএনপি কর্মীর পাশে দাঁড়ায়।

সম্প্রতি প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে সুমন এবং মমতাজের কৃত্রিম হাত লাগানোর ব্যবস্থা করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চেয়ারপারসনের নির্দেশে আমরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য কিছু করার দায়িত্ব নিই। সবশেষ সুমন ও মমতাজের জন্য চারটি মায়ো ইলেকট্রিক হাত প্রতিস্থাপন করে দিই। তবে কৃত্রিম হলেও দুই হাত দিয়ে এখন তারা অনেকটা স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারবেন। আশা করি তাদের জীবনে কিছুটা হলেও গতি আসবে।’

ফরহাদ হালিম জানান, মায়ো ইলেকট্রিক হাত প্রতিস্থাপন করতে একেকজনের জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে।

নতুন হাত প্রতিস্থাপনের পর মঙ্গলবার রাতে চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গুলশান কার্যালয়ে আসেন সুমন ও মমতাজ। এসময় তারা খালেদা জিয়ার হাতে রজনীগন্ধা তুলে দেন।

খালেদা জিয়া তাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।

এসময় ফরহাদ হালিম ডোনার ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা সম্পাদক প্রফেসর ডা. রফিকুল কবির লাবু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সম্পাদক মাহাবুবুল হাসান খান সুমন, সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. গালিব হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।