পাকিস্তানকে ২১২ রানের লক্ষ্য দিল ইংল্যান্ড

নকআউট পর্ব। সেমিফাইনালের লড়াই। যে দল জিতবে সেই দল টুর্নামেন্টে টিকে থাকবে। মানে, পেয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের টিকিট। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, হারলে নিশ্চিত হবে বিদায়। এমনই এক ম্যাচে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শুরু আর শেষটা হলো ভিন্ন। পাকিস্তানি বোলারদের তোপে নির্ধারিত ৫০ ওভারই ব্যাট করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৪৯.৫ ওভারে অলআউট হয়েছে ইয়ন মরগানের দল। করতে পেরেছে ২১১ রান। জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে ২১২ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড।

ইংলিশদের শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল। ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৯ রান তুলেছিলেন ইয়ন মরগানের দল। রান রেট ৫.৮০। ষষ্ঠ ওভারে শুরু ছন্দপতন। মোহাম্মদ আমিরের পরিবর্তে খেলতে নামা রুম্মন রইসের বল কভারে মারতে গিয়ে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন অ্যালেক্স হেলস। ১৩ রানেই থামে হেলসের দৌড়।

দ্বিতীয় উইকেট জুটি জমে উঠেছিল! এই জুটিতে ইংল্যান্ডের স্কোরশিটে জমা হয় ৪৬ রান। জনি বেয়ারস্টোর অবদান ২২ আর জো রুটের ২৪। এই জুটি ভাঙেন হাসান আলি। পাকিস্তানি এই তরুণ পেসার ফেরান ৪৩ রান করা জনি বেয়ারস্টোকে।

তৃতীয় উইকেটে রুট জুটি বাঁধেন অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সঙ্গে। এই জুটিতে ইংল্যান্ড পায় ৪৮ রান। রুটের অবদান ২২ আর মরগানের ২৫। ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে আউট রুট। ৫৬ বলে দুটি চারে ৪৬ রান করে শাদাব খানের বলে সরফরাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।

অধিনায়ক ইয়ন মরগান থেমেছেন ৩৩ রানে। তিনি শিকার হাসান আলির। দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক জস বাটলার পারেননি নামের প্রতি সুবিচার করতে। ৪ রান করতেই জুনায়েদ খানের বলে সরফরাজের তালুবন্দি হন বাটলার।

১৪৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে ইংল্যান্ড। সেই ধকল আর সামলে উঠতে পারেনি স্বাগতিকরা। মঈন আলি দুই অঙ্ক ছুঁতে সক্ষম হন। ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ দিকে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন বেন স্টোকস। ৩৪ রানে থেমেছেন তিনি। বাকিরা ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক।

পাকিস্তানের সেরা বোলার হাসান আলি। ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে পকেটে পুরেছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট লাভ করেছেন জুনায়েদ খান ও রুম্মন রইস। শাদাব খান নিয়েছেন একটি উইকেট।