যেভাবে সিনেমায় এসেছিলেন এই বলিউড তারকারা!
১. প্রীতি জিনতা : বলিউডের অন্যতম শিক্ষিত তারকাদের মধ্যে অন্যতম প্রীতি জিনতা। ইংরাজি এবং ক্রিমিনাল সাইকোলজিতে স্নাতক তিনি। ‘ক্যায়া কেহনা’ আর ‘কাল হো না হো’-র জন্য পেয়েছিলেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও। তবে ১৯৯৬ সালের আগে কিন্তু ক্যামেরা সম্বন্ধে কোনো ধারণাই ছিল না প্রীতির। এক বন্ধুর বার্থডে পার্টিতে গিয়ে হঠাৎই চোখে পড়ে যান এক পরিচালকের। তিনি একটি বিজ্ঞাপনের জন্য প্রীতির অডিশন নেন। সেখান থেকেই শেখর কাপুরের নজরে পড়েন ডিম্পল গার্ল। বাকিটা ইতিহাস।
২. অর্জুন রামপাল : দিল্লির হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন অর্জুন। এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম প্রমিসিং অ্যাক্টরদের মধ্যে অন্যতম তিনি। একদিন দিল্লির এক ডিস্কোতে ডিজাইনার রোহিত বলের নজরে পড়েছিলেন তিনি।
রোহিতই তাঁকে মডেলিংয়ে নিয়ে আসেন। এ ভাবেই বলিউডে পা রাখা অর্জুনের।
৩. বিপাশা বসু : ২০০৫ এবং ২০০৭ সালে ‘সেক্সিয়েস্ট ওম্যান ইন এশিয়া’ হয়েছিলেন তিনি। বহু ছবিতে নজরও কেড়েছিল তাঁর অভিনয়। কিন্তু বলিউডে তাঁর পা রাখাটা কিন্তু ছিল খুবই আকস্মিক। একদিন কলকাতার এক হোটেলে অর্জুন রামপালের স্ত্রী মেহর জেসিয়ার চোখে পড়েছিলেন বিপাশা বসু। মেহর তাঁকে মডেলিংয়ে নামার জন্য উৎসাহ দেন। এরপরেই বিনোদন দুনিয়ায় আসেন বিপাশা।
৪. অক্ষয় কুমার : এক ছাত্রের কথায় মডেলিংয়ে উৎসাহিত হয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। মার্শাল আর্টের পাশাপাশি এরপর থেকেই অভিনয় শুরু করেন তিনি। বি-টাউনে এসেই একের পর এক হিট। জনপ্রিয়তার পারদও চড়েছে পাল্লা দিয়ে। ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের প্রথম দশ সর্বোচ্চ আয়ের অভিনেতার মধ্যেও একবার নাম উঠেছিল তাঁর। সেরা অভিনেতার জন্য পেয়েছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারও।
৫. পরিণীতি চোপড়া : যশ রাজ ফিল্মস-এ জনসংযোগ বিভাগে কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকেই নজরে পড়েছিলেন ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বহেল’-এর পরিচালক মনীশ শর্মার। এখন চুটিয়ে অভিনয় করছেন তিনি। পকেটে রয়েছে বিশেষ বিভাগে ভারতের জাতীয় পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার বেস্ট ডেবিউর মতো অ্যাওয়ার্ডও।
৬. মাধুরী দীক্ষিত : নাচ থেকে অভিনয়— সবেতেই তিনি সেরা। পঞ্চাশ বছরেও তিনিই বলিউডের ধক ধক গার্ল। তাঁর নাচেই এক প্রযোজকের নজর কেড়েছিলেন মাধুরী। কিন্তু প্রথমে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নামার বিষয়ে তীব্র আপত্তি ছিল নায়িকার বাবা-মার। পরে অবশ্য এক বন্ধুর জোরাজুরিতে নিমরাজি হয়েছিলেন তাঁরা।
৭. আমিশা পাটেল : ‘কাহো না প্যার হ্যায়’ দিয়ে যাত্রা শুরু। এরপরেই ‘গদর: এক প্রেম কথা’। দুটি ছবিই সুপার ডুপার হিট। কিন্তু আমিশার বলিউডে আসাটা ছিল একেবারেই আকস্মিক। আমিশার বাবা ছিলেন পরিচালক রাকেশ রোশনের বন্ধু। ‘কাহো না প্যার হ্যায়’-এর জন্য তিনিই আবিষ্কার করেন আমিশাকে।
৮. কঙ্গনা রানাউত : একটি কফি শপে বসে কফি খাচ্ছিলেন কঙ্গনা। সেখানেই কঙ্গনাকে দেখে ভালো লেগে যায় পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের। ‘গ্যাংস্টার’-এর জন্য অডিশন দিতে বলেন কঙ্গনাকে। এরপরেই বি-টাউনে যাত্রা শুরু ‘কুইন’-এর। এই মুহূর্তে ভারতের হাইয়েস্ট পেইড অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন একাধিকবার।
৯. আনুশকা শর্মা: বেঙ্গালুরুর একটি ফ্যাশন ইভেন্টে জিন্সের দোকানে ডিজাইনার ওয়েনডেল রডড্রিক্সের সঙ্গে মোলাকাত হয়েছিল আনুশকার। তাঁর কথাতেই মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন নায়িকা। এভাবেই বলিউডে আসা। বি-টাউনের অন্যতম সফল অভিনেত্রীদের তালিকায় এখন প্রথম দিকেই থাকবে তাঁর নাম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন