রোহিঙ্গাদের বাড়িতে আদিবাসীদের বৌদ্ধের পুনর্বাসন
হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের মুখে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বিতাড়িত করার পর সেখানে এরই মধ্যে পুনর্বাসন করা হয়েছে আদিবাসীদের বৌদ্ধ। রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘরগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে তাদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ছোট ছোট ঘর।
রাখাইনের কয়েকটি গ্রাম সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে শুক্রবার (১৬ মার্চ) বার্তা সংস্থা এএফপি একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে দেখানো হয়, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের যেসব গ্রামে এক সময় মুসলিম অধ্যুষিত ছিল সেসব গ্রামে বৌদ্ধ রাখাইন আদিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। গ্রামের প্রবেশ পথে বাঁশের মাথায় টানিয়ে রাখা হয়েছে বৌদ্ধদের পতাকা। ছোট ছোট টিনের এসব দো-চালা ঘরে পুনর্বাসন করা হয়েছে বৌদ্ধ আদিবাসীদের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে আর সেখানে বসতি গড়তে না পারে, সেই লক্ষ্যে রাখাইনের বিভিন্ন গ্রামে নতুন করে বৌদ্ধদের পুনর্বাসনের জন্য এসব আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। এই গ্রামগুলো ছিল রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর।
মিয়ানমার সেনারা গ্রামগুলো বুলডোজার চালিয়ে মিশিয়ে দিয়েছে গ্রামগুলো। মুছে ফেলা হয়েছে রোহিঙ্গাদের পুড়ে-যাওয়া বাড়ি-ঘরের ক্ষতচিহ্ন। এসব গ্রাম নতুন করে চাষাবাদের উপযোগী করে তুলছে তারা । দক্ষিণাঞ্চলের তুলনামূলক স্থিতিশীল ও দরিদ্র এলাকা থেকে রাখাইন জনগোষ্ঠীরা এখন সেখানে আসতে শুরু করেছে। রাখাইনে নতুন বসতি গড়া বৌদ্ধরাও চান না রোহিঙ্গারা ফিরে যাক।
রাখাইন রাজ্যের এক গৃহবধূ সিত সান এইন বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভয় পাই। আমরা চাই না তারা আর ফিরে আসুক। এখন তারা এখানে থাকবে না। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে বসবাসের সুযোগ পেয়েছি আমরা।’
এক সময়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গা মুসলিমদের এলাকায় এখন দেশটির একটি দাতাগোষ্ঠী বৌদ্ধদের স্থায়ী বসতি গড়ার জন্য নানান পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। রোহিঙ্গাদের অনুপস্থিতিতে সেখানে সরকারি, বেসরকারি ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন