ট্রেন বাস ও লঞ্চে উপচেপড়া ভিড়, ভোগান্তি
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছেন রাজধানীবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ট্রেন, বাস ও লঞ্চে ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এ ছাড়া ভোগান্তির পথে পথে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এত বিড়ম্বনার মধ্যেও শেকড়ের টানে আপন ঠিকানায় ছুটছেন ।
ঈদযাত্রায় কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ছিল বাড়ি ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এ সময় ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেককেই ট্রেনের ছাদে উঠতে দেখা গেছে।
ঈদ উপলক্ষে আসন ক্ষমতার তিনগুণ যাত্রী যাচ্ছে রেলে। আর প্রতিদিনই সিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। ঈদের বিশেষ ট্রেনের ক্ষেত্রে এ ঘটনা বেশি ঘটছে।
জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা ১০ জুন থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। কিন্তু বুধবার থেকে বিভিন্ন ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। প্রায় ট্রেনই দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পযর্ন্ত বিলম্বে চলাচল করছে। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকালও ভোগান্তি আরও বাড়বে।
আজ সকালেও অনেক ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ের ২০-৩০ মিনিট দেরি করে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ভোর থেকে গাবতলী-মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও ছিল বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়।
এদিকে ভোর ৫টা থেকেই ঘাট থেকে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চেই দেরিতে ছেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
রেলপথ সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরি। এক ঘণ্টা কিংবা ৩০ মিনিট বিলম্বে ট্রেন চলাচল করাটাকে খুব একটা দুর্ভোগ বলা যাবে না। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে নির্ধারিত গতির চেয়ে কমগতিতে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। তা ছাড়া প্রতিটি ট্রেনই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এক একটি স্টেশনে নির্ধারিত যাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত সময় দিতে হচ্ছে। প্রচণ্ড ভিড়ে যাত্রীদের ওঠানামায় বেশি সময় লাগছে।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের ইউনিক পরিবহনের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন বলেন, সকালে যাত্রীর বেশি চাপ ছিল। দুপুরে তেমন যাত্রী নেই। তবে রাতে চাপ বাড়বে।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত গাড়ি রয়েছে। সঠিক সময় ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে গাড়িগুলো। তবে ঈদযাত্রায় মূল সমস্যা হয় মহাসড়কে যানজট থাকলে। এখন পর্যন্ত সব ঠিক আছে। সামনের দুই দিন যানজট না থাকলে আশা করি কোনো ঝামেলা হবে না।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদযাত্রায় বিশেষ করে বুধবার নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ ছেড়েছে। আজও নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ ছেড়েছে। শুক্রবারও রুটিন মেনেই লঞ্চ ছাড়বে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন