পাহাড় থেকে নিরাপদে সরানো হলো দুই হাজার বাসিন্দাকে

বারবার সতর্ক করে মাইকিং ও নোটিশ দিয়েও সরাতে না পেরে কক্সবাজারে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা দুই হাজার বাসিন্দাকে অবশেষে রাতের আঁধারে জোর করে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।

গত রাতে কক্সবাজার পৌরসভার ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১২ নং ওয়ার্ডে পাহাড়ে বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ তিন শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

চলমান ভারি বর্ষণে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে হতাহতের আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ বলেন, শনিবার থেকে কক্সবাজারে টানা বর্ষণ চলছে। গড়ে ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে পাহাড় ধসের শঙ্কা প্রখর। তাই, হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রথম থেকেই প্রশাসন সতর্কাবস্থানে ছিল।

বারবার গণবিজ্ঞপ্তি এবং মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যায়নি। তাই রাতের আঁধারে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে তাদের নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিম উদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে অভিযানটি চালানো হয়।

অভিযানে বিজিবি ক্যাম্প, পল্লনকাটা, সাহিত্যিকা পল্লী, সবুজবাগ, পাহাড়তলী, ইসলামপুর, বাঁচামিয়ার ঘোনা, বাদশাঘোনা, ঘোনারপাড়া বৈদ্যঘোনা, মোহাজের পাড়া, ডিসি পাহাড়, লাইট হাউজ ও কলাতলীসহ শহরের পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী প্রায় দুই হাজার নারী-পুরুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তাদের জন্য স্ব স্ব এলাকায় অবস্থিত প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে নিরাপদ স্থানে আনাদের দেখতে রাত ১১টার দিকে বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, যারা বেশি ঝুঁকিতে ছিল তাদের নিরাপদস্থানে আনা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য ইফতার ও সেহেরির জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং শিশুখাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ডিসি।