১০০ ছুঁই ছুঁই : আর কত বয়স হলে ভাতা পাবেন ইমান গাজী?

ইমান হোসেন গাজীর বয়স ১০০ ছুঁই ছুঁই। চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫ নম্বর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর গ্রামে ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। পাঁচ মেয়ে ও ছয় ছেলের জনক তিনি।

একে একে চার মেয়ে ও চার ছেলে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। দুই ছেলে ও এক মেয়ে তাদের নিজেদের অভাবি সংসারের ঘানি টানছেন। স্ত্রী নিয়েই ইমান গাজীর সংসার।

যৌবনে কারত (গাছ কাটার) কাজ করেছেন। বয়সের ভারে কুঁজো হয়েছে সাড়ে ছয় ফুটের শরীর। এখন কাজ করতে পারেন না। মানুষের দুয়ারে হাত পেতে পেতে যা পান তা দিয়ে জীবন চলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

সপ্তাহ খানেক আগে হাতের লাঠি ফসকে পড়ে আঘাত পেয়েছেন। আঘাতের চিহ্ন এখনো হাতে বিদ্যমান। চিকিৎসা করতে ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। ধারদেনা করে চিকিৎসা করালেও এখন ওষুধ কিনতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার পড়ন্ত বিকেলে ছোট সুন্দর গ্রামে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হচ্ছিলো। আক্ষেপের সুরে ইমান গাজী বলেন, ১০-১১ বার বয়স্ক ভাতার জইন্যে ফটো ভোটার আইডি দিছিলাম। কিন্তু তালিকায় আঁর নাম উডে না। এহন আবার মেম্বাররে ছবি আইডি কার্ড দিয়ি। আল্লাহ চাইলে পামু আর না হয় পামু না।

ইমান গাজী আরো বলেন, দয়া করে মাঝে মইদ্যে নাতিরা ভাত দেয়। খাই। পোলাগো সংসারই ঠিকভাবে চলে না। আমাগো দিকে নজর দিবো কী কইরা?

ইমান গাজী প্রসঙ্গে কথা হয় স্থানীয় সংরক্ষিত নারী সদস্য আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, এতো বছর বয়স্ক ভাতার কার্ড না পেলেও এবার দেয়া হবে। সবার আগেই ইমান গাজীকে কার্ড দেয়ার চেষ্টা করবো।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫ নম্বর রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আল মামুন পাটওয়ারী জানান, ইমান গাজীর স্ত্রী বয়স্ক ভাতা পান। তাই তাকে ভাতা দিতে বিলম্ব হয়েছে। তবে এবার নতুন তালিকা হলেই সবার আগে ইমান হোসেন গাজীর নাম দেয়া হবে।