সংসদ নির্বাচন : যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হলো

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। সব হিসাব-নিকাশ শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বরে।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে যাদের মনোনয়ন বাতিল হলো-

• ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেয়া মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিন আজ রোববার সকালে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. ওয়াহিদুজ্জামান খালেদার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন।

•ঋণ খেলাপের অভিযোগে হবিগঞ্জ-১ আসনে গণফোরাম মনোনীত প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড বিভাগ থেকে ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এ ছাড়া একই আসনে আরও ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নান, ইসলামী ফ্রন্টের জুবায়ের আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্টের বদরপুর রেজা সেলিম ও ইসলামী আন্দোলনের আবু হানিফ আহমদ হোসেন।

• হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় পটুয়াখালী-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। রোববার দুপুর ১২টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় এ ঘোষণা দেয়া হয়।

• আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। রোববার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফ হোসেন।

• রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে দেয়া পদত্যাগপত্র জমা দিলেও গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

• রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মামলাসংক্রান্ত সার্টিফাইড কপি না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

• কুড়িগ্রাম-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্রে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় ত্রুটি থাকায় রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন।

•বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে মহাজোট, ঐক্যফ্রন্ট ও বিভিন্ন দলসহ সর্বমোট ২৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। বাগেরহাট-১ আসনে ঋণ খেলাপের দায়ে জাতীয় পার্টির আহমেদ জোবায়েরের এবং বাগেরহাট-২ আসনে একই দলের প্রার্থী শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের মনোনয়নপত্র ত্রুটিপূর্ণ থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাট-৪ আসনে মো. আমিনুল ইসলাম খানের (এনপিপি) মনোনয়নপত্রে ত্রুটির জন্য তা বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।

•চট্টগ্রামে বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরা হলেন- কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দীন কাদের চৌধুরী, তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরী এবং যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে গিয়াস কাদের চৌধুরী ও আসলাম চৌধুরী ঋণ খেলাপি এবং সামির কাদের চৌধুরী দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

• সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চার প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। এরা হলেন- জেলা কৃষক লীগ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এসএম মুজিবর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, ন্যাপের হায়দার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম।
এ ছাড়া সাতক্ষীরা-২ আসনে জেএসডির প্রার্থী আফসার আলী এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার।

• কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে ৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন এ ঘোষণা দেন। এদের মধ্যে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া একই আসন থেকে ঋণ খেলাপীর দায়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (বাদল গ্রুপ) প্রার্থী রেজাউল হক ও আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় মুসলীম লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকারের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। অন্যদিকে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল গফুর ও বশির আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় বর্তমান এমপি আব্দুর রউফের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই আসন থেকে ঋণ খেলাপের দায়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মেহেদী হাসান, জাকের পার্টির তসির উদ্দিন ও সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ প্রার্থী রোকনুজ্জামান রোকনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

• শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। চারটি ব্যাংকের ঋণ খেলাপির দায়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া জেলা যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল কাদের মনোনয়নপত্রে বিএনপির প্রার্থী বলে উল্লেখ করলেও এর সঙ্গে দলীয় মনোনয়নের চিঠি সংযুক্ত না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

• আদালতে দণ্ডিত হওয়ায় খাগড়াছড়িতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ওয়াদুদ ভুইয়া, দলীয় মনোনয়ন না থাকায় আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী ও দাখিলকৃত ভোটার তালিকায় অসঙ্গতির কারণে ইউপিডিএফ সমর্থিত দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা, ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমা ও নতুন কুমার চাকমা।

• নওগাঁর ৬টি আসনে মোট নয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থী তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন- নওগাঁ-১ আসনের আবু হেনা মোস্তফা কামাল (এলডিপি/বিকল্পধারা), নওগাঁ-২ আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ড. ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম (স্বতন্ত্র), আব্দুর রউফ মান্নান (বিকল্পধারা), মতিবুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)। নওগাঁ-৪ আসনে আব্দুর রাকিব (স্বতন্ত্র) ও আফজাল হোসেন (স্বতন্ত্র)। নওগাঁ-৫ আসনে নওগাঁ পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব নজমুল হক সনি (বিএনপি) ও ইফতারুল আলম বকুল (জাপা) এবং নওগাঁ-৬ আসনে আনোয়ার হোসেন হেলাল (স্বতন্ত্র)। নওগাঁ পৌরসভা মেয়র আলহাজ নজমুল হক সনি মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে তাকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

• ঢাকা-৪ (শ্যামপুর ও কদমতলী) আসনের মোট ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এদের একজন বিকল্পধারা বাকিদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল। ঢাকা-৪ আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হচ্ছেন বিকল্পধারার কবির হোসেন (ব্র্যাক ব্যাংকে ঋণ খেলাপি), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক (ঋণ-সংক্রান্ত তথ্য দেননি, সিটি ব্যাংকে ঋণ খেলাপি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম (সোনালী ব্যাংকে ঋণ খেলাপি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশারফ হোসেন (১ শতাংশ ভোটারের নাম-ঠিকানা দেননি, এছাড়াও ২২৪১ জনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি)।

• মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না থাকায় নাটোর-১ আসনে সাম্যবাদী দলের বীরেন্দ্রনাথ সাহা, নাটোর-৪ আসনে মুসলিম লীগের শান্তি রিবেরু, জাসদ (ইনু) দলের রনি পারভেজ, ঋণ খেলাপির কারণে জাতীয় পার্টির আলাউদ্দিন মেধা, জাল স্বাক্ষরের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলেয়ার হোসেন খান এবং নাটোর-২ আসনে মামলায় সাজা হওয়ার কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

• পটুয়াখালী ঋণ খেলাপি হওয়ায় পটুয়াখালীতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।

জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ঢাকার গুলশান শাখায় ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

• টাঙ্গাইলের-৮ আসনের ১৪টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঋণ খেলাপির অভিযোগে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি ঋণ খেলাপি থাকায় প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়নি।

এছাড়াও ঋণ খেলাপির অভিযোগে টাঙ্গাইল-১ (ধনবাড়ী-মধুপুর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফকির মাহাবুব আনাম স্বপন ও টাঙ্গাইল ৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের বিএপির প্রার্থী নুর মোহাম্মদ খানের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে মনোনয়নপত্র বাচাই ও শুনানি শেষে কাদের সিদ্দিকীসহ ১৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম।

এ ছাড়া ঋণ খেলাপির অভিযোগে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন- টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এনপিপির প্রার্থী মো. চাঁন মিয়া ও বিএনএফ’র আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বাকির আলী ও আবুল কাশেম, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের বিএনএফ প্রার্থী মো. সুলতান মাহমুদ ও এনপিপি প্রার্থী মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের খেলাফত মজলিস প্রার্থী মজিবর রহমান, টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের জাতীয় পাটি প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, খেলাফত মজলিস প্রার্থী আব্দুল লতিফ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহীদুল ইসলাম।

• কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ভাই ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কেএম মুজিবুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে আয়কর সনদ না থাকায় কেএম মুজিবুল হকের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল ফজল মীর।

পরে দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে কেএম মুজিবুল হক বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, সম্পদের বিবরণসহ যাবতীয় কাগজপত্র হফলনামার সঙ্গে নথিতে সংযুক্ত করে দিয়েছি, যার প্রমাণ এবং স্থির ও ভিডিও চিত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। ওই নথি থেকে আয়করের সনদটি গায়েব করার মাধ্যমে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করব।

তবে এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর সাংবাদিকদের বলেন, যে সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে বিধি মোতাবেক তথ্য ও কাগজপত্রের ঘাটতি কিংবা ত্রুটি আছে তাদেরই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে কারও নথি থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ফেলার বিষয়টি সঠিক নয়। ওই প্রার্থী ইচ্ছে করলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারেন।

• ত্রুটি থাকায় বাতিল করা হয়েছে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির, শাহ জামাল শামীম, ইয়াসমিন আক্তার পপি, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, নূরুল ইসলাম মুকুল মৃধা এবং মাওলানা ফয়েজুল হকের মনোনয়নপত্র। তাদের মধ্যে ইয়াসমিন আক্তার পপি ঋণ খেলাপি এবং অন্যরা মোট ভোটারের এক ভাগের স্বাক্ষর সঠিকভাবে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

এ ছাড়া ঝালকাঠি-২ আসনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী গণফোরাম প্রার্থী জাহান শাহ কবির পারভেজের মূল কাগজপত্র না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে জেলার ২১ প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনের সঠিক এবং সাতজনের মনোনয়নপত্র ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বাতিল হয়েছে।

• পঞ্চগড়ের দুটি আসনে বিএনপি মনোনিত দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। পৌরসভা মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ না করায় পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির মনোনীত তৌহিদুল ইসলাম এবং ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন দাখিল করায় পঞ্চগড়-২ আসনে বিএনপির মনোনীত ফরহাদ হোসেন আজাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

আরও আসছে…..