খাগড়াছড়িতে বিরল রোগে আক্রান্ত ১০বছরের শিশু বাঁচতে চায়

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দিঘীনালা উপজেলায় বিরল রোগ আক্রান্ত ১০বছরের শিশু আরিফ বাঁচতে চায়। আকুতি-মিনুতি করছেন শিশুটির মা।

সরেজমিনে জেলার দীঘিনালা উপজেলার ১নং মেরুং ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের বেতছড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মৃত এমদাদুল হক কাজলের ছেলে মো. আরিফ (১০) দীর্ঘ ৮ বছর যাবত জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে বাসায় রয়েছে। অর্থের অভাবে মা পারভিন আক্তার একমাত্র ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মানুষের বাসায় কাজ করে নিজের জীবন যুদ্ধের মাঝে বাঁচাতে চায় তার একমাত্র ছেলে শিশু আরিফকে।

আরিফের মা জানান, তার ছেলে আরিফ দীর্ঘ ৮বছর যাবৎ বিরল রোগে আক্রন্ত। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে আযান দিতো। এক বছর যাবত হাটা-চলা করতে পারে না। সাথীদের সাথে খেলাধুলা করতে পারেনা। এক বছর থেকে কোন খাবার গ্রহন করে না, মাঝে মধ্যে হালকা জুস এবং পানি খেয়ে বেঁচে আছে। ১বছর যাবত এক দেড় মাস পর পর সামান্য মল (পায়খানা) ত্যাগ করে। স্বামী বেঁচে থাকতে চিকিৎসা খরচ চালাতে বেতছড়ি বাজার এলাকার ১২শতাংশ জায়গাসহ বসতবাড়ি বিক্রয় করা হয়েছে। চিকিৎসার খরচের পরিমান বেশি হওয়ায় আর চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি।

ছেলের চিকিৎসার টাকা না থাকায় চিকিৎসা করাতে ব্যার্থ পিতা ২০১৫সালে হটাৎ স্ট্রোক করে মারা যান।

পারভিন আক্তার আরো বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর অনেক কষ্টে দুই মেয়েকে বিবাহ দিয়েছি। কিন্তু এর পর থেকে আর আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে পারি নাই। নিজের সহায় সম্বল হারিয়ে এখন আমি মানুষের বাসায় থাকি। দিনমুজুরী কাজ করে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছি। ছেলের অপারেশনের টাকা যোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
ডাক্তার জানিয়েছেন, সাড়ে ৩লক্ষ টাকা খরচে অপারেশন করানো হলে তার ছেলে বেঁচে যেতে পারে।

তিনি দেশবাসীসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন করেছেন। (সাহায্য পাঠাতে বিকাশ নম্বর ০১৮৭৮২৪৩৭৭২, পারভিন আক্তার)।