সিলেট খুলেছে অফিস আদালত, উপস্থিতি কম

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সিলেটে খুলেছে ব্যাংক সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী অফিস। তবে ঈদের ৩/৪ দিনের ছুটির পর অফিস খুললেও উপস্থিতি ছিল খুব কম। বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদের ঈদ পরবর্তী কুশলাদি বিনিময়ে দিনের বেশীর ভাগ সময় কেটেছে। গ্রাহক না থাকায় বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদের অলস সময় কাটাতে হয়েছে। নগরীতে যানবাহন ও জনসাধারণের উপস্থিতি তুলনামুলক কম দেখা গেছে। তবে কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড ও কদমতলী টার্মিনাল সহ বিভিন্ন বাস স্টেশনে সিলেটমুখী মানুষের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আদালত খুললেও বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবির উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। রোববার নগরীর বিভিন্ন অফিস ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

শুক্রবার দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে আগে থেকেই সরকারের নির্দেশনা ছিল ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মস্থলে থাকতে হবে। একই সঙ্গে ঈদের ছুটি একদিন কমিয়েও দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ২৯ রজমানও অফিস খোলা ছিল। এবার ঈদের ছুটির দুদিনই গেছে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। করোনা সংক্রমণের কারণে লকডাউনের মধ্যে জরুরী সেবা দেওয়া দপ্তর ছাড়া সরকারি অন্যান্য অফিস বন্ধ রয়েছে।

এপ্রিলের শুরুতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রথমে যানবাহন চালু রেখে লকডাউন দেয় সরকার। পরে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে তিন দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ রোববার মধ্যরাতে শেষ হয়। বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক দফা বাড়িয়ে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

রোববার নগরীর বিভিন্ন অফিস ও বিপনী বিতান ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই ব্যাংক-বীমা অফিসে গ্রাহকের উপস্থিতি ছিলনা বললেই চলে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগেই অনেকেই তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেছেন। অতি জরুরি প্রয়োজনে এখন কিছু গ্রাহক ব্যাংক সহ অন্যান্য অফিসমুখী হচ্ছেন। তবে ২/১ দিনের মধ্যেই অফিস আদালতে মানুষের উপস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে রোববার নগরীর বিভিন্ন বিপনী বিতান ও মার্কেট খুলতে শুরু করলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল নগন্য।

সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির লাইব্রেরী সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি বলেন, রোববার থেকে সিলেটে আদালত খুললেও উপস্থিতি একেবারে কম ছিল। তাছাড়া লকডাউন চলাকালে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে জামিন কার্যক্রম চলছিল। ঈদ পরবর্তী সময়ে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবিগণের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক তালতলা শাখার কর্মকর্তা মনির উদ্দিন বলেন, রোববার ব্যাংক খুলেছে ঠিক। তবে গ্রাহক উপস্থিতি কম ছিল। এছাড়া লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক জনবলের উপস্থিতিতে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও কম। রোববার টাকা জমার পরিমাণ মোটামুটি ভালো হলেও উত্তোলন প্রায় শুণ্য ছিলো বললেই চলে। তবে দুয়েকদিনের মধ্যে ব্যাংকে উপস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।