গাইবান্ধায় খামারের বর্জ্যের গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের তালুক বুড়াইল গ্রামে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে আবাসিক এলাকাতে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে মুরগীর খামার।
জানা যায়, তালুক বুড়াইল গ্রামের মোঃ কামাল মিয়া, গনেশ চন্দ্র, শুধীর চন্দ্র গত ৩/৪ বছর ধরে সরকারি অনুমোদনবিহীন পোল্ট্রি খামার গড়ে তুলেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবাসিক এলাকা হওয়ায় খামারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। এতে যেমন নদীর পানি দূষণ হচ্ছে তেমনি নদীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। আবার এই বর্জ্যের দূর্গন্ধে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ বালাই। শুধু তাই নয়, খামারের চারপাশে বসতবাড়ি হওয়ায় তীব্র দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
মুরগীর খামারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, মুরগীর বিষ্ঠার গন্ধে তিন বেলা খেতে পারি না। দূর্গন্ধে রাতে ঘুমাতে পারিনা। ভয়ে কিছু বলতেও পারিনা। ঘরে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করতেও নানা সমস্যা হয়।
অপর একজন এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বাড়ির পাশে খামার হওয়ায় বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এই খামার অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্কুলপড়ুয়া কোমলমতি কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা দুর্গন্ধের জন্য এদিক দিয়ে স্কুলে যেতে পারিনা। নাক, মুখ বন্ধ করে এদিক দিয়ে যেতে হয়। দূর্গন্ধে পড়ালেখা করতে খুব কষ্ট হয়।
এদিকে অভিযুক্ত মোঃ কামাল মিয়া, গনেশ চন্দ্র, শুধীর চন্দ্রের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকের সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার জায়গায় আমি খামার দিয়েছি। কারও কোন অসুবিধা হলে আমার দেখার বিষয় না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন