পটুয়াখালীর মহিপুরে দ্বিতীয় বিয়ের সন্দেহে ব্লেড দিয়ে প্রবাসী স্বামীর গোপানাঙ্গ কেটে দিয়েছে স্ত্রী।

উপজেলার লতাচাপলী ইউপির মম্বিপাড়া গ্রামে ওই প্রবাসীর শশুর বাড়িতে শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

রক্তাক্ত অবস্থায় আহত যুবক পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে ওই বাড়ির সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা বিশ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাপালে নিয়ে আসে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যন্ত্রনাসিক্ত প্রবাসী হাসপাতালের শয্যায় থেকে অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘ চার বছর তুরস্কে প্রবাসী জীবন কাটান তিনি। তার স্ত্রী শারমিন একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে তার শশুর বাড়িতে থাকতেন। এ কারনে বিদেশ থেকে অর্জিত রোজগারের সমস্ত অর্থ স্ত্রী ও পরিবারকে পাঠিয়েছেন তিনি। চারমাস আগে দেশে ফিরে ঢাকায় একটি ভাড়া দোকানে মুদি ব্যবসা শুরু করেন। ঘটনার একদিন আগে তিনি নিজ বাড়ি আমতলী উপজেলার ঝাড়াখালী থেকে স্ত্রী সন্তানকে দেখতে শশুর বাড়িতে যান। রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় গেলে স্ত্রীর তাকে দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলে সন্দেহ করেন। পরে সকাল ৬টার দিকে ঘুমন্তাবস্থায় ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গ কেটে দেন।’

এবিষয়ে গৃহবধুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জুনায়েদ হোসেন খাঁন লেলিন জানান, ‘খুবই খারাপ অবস্থায় ওই যুবককে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত এবং নিবিড় পর্যবেক্ষনে আছেন। তবে সুস্থ হতে সময় লাগবে।’

মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জান জানান, ‘এ বিষয়ে কেউ আমাদের অবহিত করে নি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’