সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গে ফের ৪জনের মৃত্যু, চলমান লকডাউন বাড়লো ৭দিন
ফের সাতক্ষীরা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে। পরপর দুইদিনে একই ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গে আটজনের মৃত্যু হলো।
সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমনের হার না কমায় চলমান লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল সভা থেকে লকডাউন ১৭জুন পর্যন্ত বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ‘চলমান এই লক ডাউন আরো এক সপ্তাহের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা চলবে আগামী ১৭ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত।’
তিনি এ সময় জেলাবাসীকে লকডাউনের সকল বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য আহবান জানান তিনি।
এদিকে, করোনার উর্ধমুখী পরিস্থিতি ঠেকাতে শহরের মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বাঁশ ও চেয়ার টেবিল ফেলে যানবাহনও মানুষ চলাচলে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। কড়াকড়ি করা হয়েছে লকডাউনের বাধা নিষেধ। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন। তবে বিশেষ জরুরি পরিসেবা লকডাউনের আওতা মুক্ত রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ।
এরই মধ্যে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়ার মতো করোনার নানা উপসর্গ। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। ভোমরা স্থলবন্দরে সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৫০ টি মামলায় ৩২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, ‘গত ২৪ ঘন্টায় ৯৫ জনের নমুনায় পরীক্ষায় ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা শনাক্তের হার ৫০.৫২ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৪৫ জন। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই নারীসহ ৪ জন মারা গেছেন। এনিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গে মারা গেছেন ২৩৯ জন। করোনা পজেটিভে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৮ জন।’
উপসর্গ নিয়ে যে ৪ জন মারা গেছেন তারা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পরানদহা গ্রামের রুপবান বিবি (৫৫), একই উপজেলার আখড়াখোলা আমতলা গ্রামের রিজিয়া খাতুন (৩৫), ভোমরা ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস (৫৫) ও শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার কামরুজ্জামান (৬৫)।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন