ফোন করলেই বিনামূল্যে ঘরে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার
চুয়াডাঙ্গায় ফোন করলেই করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার নিয়ে হাজির হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ পরিচালিত ’পাশে আছি আমরা’ ব্যানারে একটি সামাজিক সংগঠন।
ডেলটা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের থাবায় সারা দেশের করোনা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। আর সীমান্তবর্তী হওয়ায় বেশ কিছুদিন যাবৎ চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অনেক বেশী।
মুমূর্ষু রোগীদের বাচাঁতে অভিনব উদ্যোগ দিলীপ কুমার আগরওয়ালার
চুয়াডাঙ্গার সরকারী ও বেসরকারী সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিক রোগীতে ঠাসা। প্রায়শই তৈরী হচ্ছে করোনায় মৃত্যু পথযাত্রীদের চিকিৎসার প্রধান সরঞ্জাম অক্সিজেনের তীব্র সংঙ্কট। এক একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার যেন নতুন করে বাচাঁর আশা।
মুমূর্ষু রোগীদের বাচাঁতে অভিনব এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গারই কৃতি সন্তান ব্যবসায়ী নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
ইতিমধ্যেই তিনি নিজ অর্থায়নে জেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার ও তারা দেবী ফাউন্ডেশন এর কাছে পৌছে দিয়েছেন ৫০টিরও অধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার।
করোনার প্রকোপ বিস্তারের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের হাতে অনুদানের চেক তুলে দিয়ে করোনা সংক্রমন মোকাবেলায় নিজ ক্ষেত্র থেকে অদ্যাবধি কাজ করে যাচ্ছেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
আগরওয়ালা জানান- চুয়াডাঙ্গায় আমি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের অর্থায়নে তারা দেবী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনার বিস্তার রোধে ব্যাপক সচেতনা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। পরবর্তীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে বিনা মূল্যে ১৫ হাজার মাক্স, ৫ হাজার গ্লোভস, ৫ হাজার হ্যান্ড স্যনিটাইজার, ১ হাজার পিপিই বিতরণ করেছি। জরুরী স্বাস্থ্য সেবার জন্য সার্বক্ষণিক রয়েছে তিনটি ফ্রি অ্যাম্বলেন্স সেবা।
অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে বিতরণের জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৫ হাজার পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, আলু, সহ্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বিতরণ করা হয়েছে, দেয়া হয়েছে নগদ অর্থ ও চিকিৎসা সহায়তা। দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদী সাহায্যের জন্য আরো ১০ হাজার পরিবারের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। রয়েছে একটি নিবেদিত বিশেষ নাইট ফোর্স যারা রাতের আধাঁরে মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে নাম পরিচয় গোপন রেখে।
এছাড়া রংপুরের অতি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য ১৫ টন ও নেত্রকোনায় ৫ টন চাল ক্রয় বাবদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের ব্রতই হল সেবা করা। যেকোন পরিস্থিতে মানুষের পাশে থাকতে পারাটাই জীবনে স্বার্থকতা। শুধু করোনা পরিস্থিতি না আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমি ও আমার টিম মানুষদের পাশে থাকতে চাই, শুধু সুখের দিনে নয় দুঃখের দিনেও।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন