নরসিংদীতে গ্রামপুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পলাশেরচর গ্রামের গ্রামপুলিশ শরীফ এর বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধী নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সে পলাশেরচরের কামালের পুত্র।

শরীফ বিয়ের প্রলোভন এবং হুমকি প্রদর্শন করে মাঝেরচর গ্রামের ওই নারীকে ধর্ষন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ওই ধর্ষিতা নারী দিন দিন ক্রমশ অসুস্থ হচ্ছে। পরে ওই নারী স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান ভূইয়া আজাদ ও স্থানীয়দের কাছে বিচার দাবী করেন। ওই ধর্ষিতা নারী বিচার না পেয়ে এখন বাড়ীতে কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালান বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।

পাশের বাড়ীর মহিলা নার্গিস বেগম বলেন, এই ধর্ষনকারী গ্রাম পুলিশ শরীফ এই প্রতিবন্ধী মেয়েকে সন্ধ্যা বেলা এসে জোর করে ধরে এই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটায়। কিন্তু সে প্রভাবশালী হওয়ায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে এলাকার লোকজনকে অর্থ দ্বারা ম্যানেজ করে ঘটনাটি আজ ৪-৫ দিন যাবৎ ধামাচাপা দিয়ে রাখে।

গ্রামপুলিশ শরীফের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এই নারী অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্ত আমার স্বামী ওই মেয়েকে বিবাহ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যেহেতু ঘটনাটি ভুলবশত ঘটে গেছে তাই ইউপি মেম্বারকে নিয়ে উক্ত ঘটনাটির সঠিক সমাধান বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি।

৫নং ওয়ার্ডের পলাশেরচর গ্রামের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান ভূইয়া আজাদ বলেন, এই বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য আমি আপনাকে দিতে পারব না। কারণ আমি নিজেও ঘটনাটি এই মাত্র শুনেছি। তবে অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন আইন তার বিচার করবে।

গ্রামপুলিশ শরিফ মোবাইল ফোনে বলেন, যেহেতু ভুলক্রমে ঘটনাটি ঘটেছে সেহেতু আমি, আপনি এবং স্থানীয় মেম্বারকে নিয়ে ঘটনাটি আর সামনে না বাড়তে দিয়ে এখানেই ধামাচাপা দিলে ভালো হয় প্রয়োজনে আমি আপনাকে খুশি করবো। আপনি আমার সাথে দেখা করেন।

এদিকে, দরিদ্র পরিবারের ওই নারী বর্তমানে খুবই অসুস্থ এবং ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার মাননীয় পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন।