রংপুরের পীরগঞ্জে
বাড়ির আঙ্গিনায় ‘বস্তায় আদা চাষ’!
রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভার এলজিডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আয়েশা সিদ্দিকা আশা বাড়ির আঙ্গিনার মধ্যে বস্তায় আদা চাষ দেখে এখন অনেকেই এ পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের চকরাঙ্গামাটি (ছেনাগাড়ী) গ্রামের মৃত্যু রুহুল আমিন মন্ডল মুনছুর এর কন্যা আয়েশা সিদ্দিকা আশা।
তার বড় ভাই হুমায়ুন কবির শাফির সহযোগিতা নিয়ে চাকুরীর পাশাপাশি তিনি বাড়ির আঙ্গিনাতে পরিত্যক্ত জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করে সফল হয়েছেন। তার ইচ্ছা বাড়ির আঙ্গিনাতে পরিত্যক্ত স্থানে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষে উপজেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবেন।
তিনি জানান, ‘ইউটিউবে আদা চাষ দেখে তার পীরগঞ্জ বাবার বাড়ীর আঙ্গিনায় পরিত্যক্ত ১০ শতাংশ জমির সুপারি, নারিকেল, আম, লিছু গাছের নিচে বস্তায় আদা চাষ করেন। বস্তায় আদা চাষ করতে খরচ হয়েছে মাত্র ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। আদা চাষে পরিমাণ মতো জৈব, রাসায়নিক ও কম্পোস্ট সার এবং দানাদার কীটনাশক বেলে দো-আঁশ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে বস্তায় ৩টি করে আদা বীজ হিসেবে ভরেছেন। ফলের গাছের ফাঁকে ফাঁকে সারিবদ্ধভাবে রেখেছেন ১হাজার ১’শ বস্তা। এক সাথে বস্তার ভিতরে হাইব্রিড ওল এবং আদা চাষ করেছেন।’
এছাড়াও আদা ক্ষেতের উপরে করলার চাষও করেছেন তিনি।
আশা আরও বলেন, ‘সাধারণভাবে আদা চাষের চেয়ে এই পদ্ধতিতে ফলন বেশি হয়। আমি আশা করছি এই পদ্ধতিতে লাভবান হতে পারব ইনশাআল্লাহ। বস্তাপ্রতি ১কেজি করে ১ হাজার কেজিরও বেশি আদা উৎপাদন করতে পারবো। যার বিক্রয় মুল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। আমিই প্রথম সম্মিলিত পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে ফাঁকা জমি এবং অনেক বাগান আছে। এসব ফাঁকা স্থান বা বাগানগুলো অব্যবহৃতই থাকে সারা বছর।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছাদেকুল আলম বলেন- ‘বস্তায় মাটি ভরাট করে আদা চাষ কৃষকের কাছে একটি নতুন ধারণা। তাদের এভাবে আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন পদ্ধতিতে মশলা জাতীয় আদা চাষ যেমন চাহিদা মেটাতে পারবে, একইভাবে কৃষকও লাভবান হবেন।’
ছায়া জাতীয় স্থানে আদার চাষ ভালো হয় বলেও তিনি জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন