ষড়যন্ত্রের নয়, ভাত-কাপড়ের রাজনীতি প্রয়োজন : মোস্তফা

ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নয়, ভাত-কাপড়ের রাজনীতি আজ বড্ড বেশী প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ভোটের রাজনীতি বা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নয়, ভাত-কাপড়ের রাজনীতি দিয়েই মওলানা ভাসানী মানুষকে সংগঠিত করেছেন। জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করেই তিনি আপসহীনভাবে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। আজকেও মুক্তি পেতে হলে জনগণের সংগ্রামের ওপর ভিত্তি করেই মওলানা ভাসানীর রাজনীতিকেই ধারণ করতে হবে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আজকের বাংলাদেশ কোনো একক ব্যক্তির অবদান নয়। বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যারা ভূমিকা রেখেছেন, সন্দেহাতীতভাবেই মওলানা ভাসানী তাদের মাঝে অন্যতম।
তিনি বলেন, খুব বিখ্যাত ছিল মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ‘খামোশ’ বলা। সমগ্র জাতিকে ধমক দিতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন একজন মানুষ। সমগ্র জাতির যিনি নেতা তখন ছিলেন, তাকেও শাসন করতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বিজয়ের ৫০ বছর পরে এখন তার কথা আলোচনা করা হচ্ছে না।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ভাসানী ছিলেন একাধারে কৃষক নেতা, অন্যভাবে তাকে গণমানুষের নেতা হিসাবেও আখ্যায়িত করা যায়। জাতির দুর্ভাগ্য তাকে ভালোভাবে স্মরণ না করে অকৃতজ্ঞার পরিচয় দিচ্ছে। একশ্রেণীর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে রাজনীতিবিদরা তাকে নিয়ে এমন তুচ্ছভাব দেখাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের এই অবিসংবাদিত নেতার জন্ম ও মৃত্যুদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনে শাসকগোষ্টি হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। মওলানা ভাসানীর দেশপ্রেম এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আদর্শের পথ ধরে স্বাধীনতার ঘোষণা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম বেগবান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজু, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ লেবার পার্টি সহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, জাতীয় নারী আন্দোলন সমন্বয়কারী মিতা রহমান প্রমুখ।