রংপুরের পীরগঞ্জে ঘর পোড়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে

রংপুরের পীরগঞ্জে ঘর পোড়া ৩টি পরিবার সর্বোস্ব হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রায় ১ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি কোন সরকারী সাহায্য সহযোগীতা।

গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের রামকানুপুর চকপাড়া গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের পুত্র আনোয়ার হোসেন (৫৮), তার দুই ব্যবসায়ী পুত্র মফিদুল ইসলাম (২৬) ও রায়হান মিয়া’র (২৩) ৪টি দালানের ঘর পুড়ে ভস্মীভ‚ত হয়। প্রায় আধা ঘন্টা স্থায়ী আগুনের লেলিহান শিখায় তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তারা উভয়েই স্থানীয় খালাশপীর হাটে আড়তদারী ব্যবসা করে আসছেন।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গেলে ভূক্তভোগীরা অশ্রæসিক্ত চোখে জানায়, পরণের কাপড় ছাড়া সব কিছুই শেষ। ঘরে রক্ষিত ব্যবসার নগদ অর্থ, আসবাবপত্র, জমি-জমার কাগজপত্র, ফ্রিজ, জামা-কাপড়, ধান, চাল, পাট সবই পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘরের বাহিরে পুড়ে যাওয়া ট্রাঙ্কটি দেখিয়ে মফিদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই রায়হান হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন।
তারা বলেন, আমরা সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের উভয় পরিবারের প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভস্মীভ‚ত হয়েছে। বিলাপ করতে করতে মফিদুল বলেন, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করবো কি করে! ঘরের বারান্দায় পুড়ে যাওয়া জীর্ণ টিনগুলোর ছাওনি দিয়ে কোন রকম খোলা আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে রাত কাটাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ওই দিনেই কয়েকটি কম্বল, ৩হাজার টাকা ও ৩০কেজি চাল অনুদান দিলেও এ পর্যন্ত সরকারী ভাবে কোন সাহায্য সহযোগীতা পায়নি ভূক্তভোগী পরিবার।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিব না করলেও পিআইও মিজানুর রহমান জানান, ওই অসহায় পরিবারগুলোর জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন দ্রুত অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা করছি।