যার সঙ্গে কথা বলেই যুদ্ধের ঘোষণা দেন পুতিন

রাশিয়ার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ছয়টার কিছুক্ষণ আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন।
এরপরই ইউক্রেনের দক্ষিণে সামরিক অভিযানে ঝাপিয়ে পড়ে প্রস্তুত থাকা রুশ সেনারা।

তবে রাশিয়ার টেলিভিশন পর্দায় হাজির হওয়ার আগে পুতিন কথা বলেছিলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার আগে বেলারুশ প্রেসিডেন্ট ফোন কল দেন।

ফোনকলে পুতিন লুকাশেঙ্কোকে জানান, তিনি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন। এরপর তিনি লাইভ টেলিভিশন বার্তায় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন।

বেলারুশ ও রুশ প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফোনালাপের তথ্য নিশ্চিত করেছে লুকাশেঙ্কোর কার্যালয়।

ফোনালাপে লুকাশেঙ্কোকে ইউক্রেন সীমান্ত ও পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন পুতিন।

অবশ্য পুতিনের ফোনকলের ব্যাপারে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশের সেনারাও আক্রমণে যোগ দিচ্ছেন। সম্প্রতি বেলারুশ সীমান্তে ব্যাপক মহড়া চালায় রাশিয়া। দেশটিতে রাশিয়ার কয়েক হাজার সেনা রয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবি করে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়ার পরই এ দাবি করল মস্কো।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বেশ কিছু বিমানঘাঁটির সামরিক অবকাঠামো অচল হয়ে গেছে। রাজধানী কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ বাহিনী।

এর আগে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।

ক্রিমিয়া হয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে রুশ সামরিক যান। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে বেলারুশ সীমান্ত ক্রসিং থেকে লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে ইউক্রেনে সৈন্য ও সামরিক যানের সারি দেখানো হয়েছে।