বগুড়ার শিবগঞ্জে জমি দলিল করে না দেওয়ার নামে অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে
বগুড়ার শিবগঞ্জে জমি সম্পাদন করে দিলেও দলিল করে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামে।
অভিযোগ উঠা দুই ভাই হলেন, উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের মৃতঃ মেহেদুল ইসলামের পুত্র সাদিক মাহমুদ ফরহাদ ও নাদিম মাহমুদ ফুয়াদ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আপন চাচাতো ভাই আলহাজ্ব গোলাম মাজেদ এর ছেলে এটিএম কাদের নেওয়াজ সুমনকে বিষ্ণপুর মৌজার ৩১৭ দাগে ৩৪ শতাংশ জমি লিখে দেওয়ার নামে ফরহাদ ও ফুয়াদ এমন তালবাহানা করে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস হলেও তা মানেনি ফরহাদ ও ফুয়াদ।
এব্যাপারে সুমনের পিতা আলহাজ্ব মাজেদ বলেন, আমার ছোট ভাই মেহেদুল জীবিত থাকা অবস্থায় ছয়ঘরিয়া মৌজার আমার ৩৪ শতাংশ জমির সাথে তার বিষ্ণপুর মৌজার ঐ ৩৪ শতাংশ জমির রেওয়াজ বদল করি। সে মোতাবেক আমার ভাই জীবিত থাকা অবস্থায় ছয়ঘরিয়া মৌজার আমার ঐ জমি বিক্রি করে টাকা নেয়। শর্ত মোতাবেক আমি এনা কসায় নামের ক্রেতাকে তা লিখে দেই।
আমার ভাই আমাকে ২০বছর পূর্ব হতে বিষ্ণপুর মৌজার ঐ জমি চাষাবাদ করতে দেয়। কিন্তু জমিটি লিখে দিতে কালক্ষেপণ করে। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর তার আপন ২ছেলে জমি সম্পাদন করে দিলেও ৩বছর যাবৎ দলিল করে দিতে তালবাহানা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে নাদিম মাহমুদ ফুয়াদ বলেন, আমরা ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দেই। আমাদের নিকট হতে কেউ কোন জমি পায়না। উল্টো তাদের নিকট হতে আমরা জমি পাই।
স্থানীয় মেম্বার আনিছুর রহমান বলেন, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফুয়াদরা বিচার মানেনি। আমি স্থানীয়ভাবে শুনেছি জমিটি রেওয়াজ বদল করা হয়েছে।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন