নরসিংদীতে গলাকেটে রাজমিস্ত্রী হত্যায় জড়িত আসামী গ্রেপ্তার

নরসিংদীতে দুলাল মিয়া (৩৯) নামে এক রাজমিস্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী ইয়াসিন মিয়া (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১১। বুধবার দুপুরে সদর থানাধীন করিমপুর দক্ষিনপাড়া হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে সদর থানার নজরপুর গ্রাম থেকে দুলাল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী ইয়াসিন মিয়া নরসিংদী সদর থানার নজরপুর গ্রামের মোঃ হারন মিয়ার ছেলে।

র‍্যাব ১১ সিপিএসসি নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার ফ্লাইট লেঃ মোঃ তৌহিদুল মবিন খান জানান, গত মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকাল নয়টার দিকে সদর উপজেলার নজরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে পতিত জমিতে একটি মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহটি নজরপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশিম মিয়ার এর ছেলে পেশায় রাজমিস্ত্রী দুলাল মিয়ার (৩৯) বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এই হত্যাকারে পর ওইদিন রাতে নিহতের মা করিমুন নেছা বাদী হয়ে সদর থানায় একই গ্রামের ইয়াসিন মিয়া (২৫) ও তার পিতা হারন মিয়া (৫০)সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতায় নামে র‍্যাবের একটি দল। হত্যাকা সংঘটিত হওযার পর প্রধান আসামি ইয়াসিন মিয়া তার এক আত্মীযরে বাসায সপরিবারে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় আটক করে র‍্যাব।

মামলার বাদীর বরাতে র‍্যাব কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল মবিন খান বলেন, দুলাল মিযার সাথে আটক হওয়া ইযাসিনের জমিজমাসংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা ছিল। হত্যাকারে শিকার দুলাল মিযাকে বাসা থেকে ডেকে নিয েযায আসামী ইয়াসিন মিয়া। পরে আসামীরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে দুলাল মিয়াকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। এই খুনে জড়িত প্রধান আসামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটক হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র‍্যাব।