তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র দেশবাসীর জন্য ঈদের উপহার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সর্ববৃহৎ কয়লাভিত্তিক পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র রোজার ঈদে দেশবাসীর জন্য বিশেষ উপহার।
সোমবার (২১ মার্চ) পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাচ্ছিল। গেল ১৩ বছর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি বলেই, দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।
তিনি বলেন, সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ায় আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে; সেটিই আজ প্রমাণিত। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, বিদ্যুতের মতো সবাই ঘরও পাবেন।
স্বজনহারা শোক সয়েও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে নিজেদের এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। এই অগ্রযাত্রা যাতে আর না থেমে যায়।
এরআগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পটুয়াখালির কলাপাড়ার ধানখালীর পায়রাতে দেশের বৃহত্তম ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তার আগে সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় কোল জেটিতে ২০০ নৌকা থেকে পতাকা নাড়িয়ে ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মূল নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে প্রথম সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।
করোনা মহামারির মধ্যে টুঙ্গিপাড়ার বাইরে এই প্রথম দেশের কোথাও সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পূরণে পায়রাতে সর্বাধুনিক আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করলেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পটুয়াখালীতে মানুষের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়া সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন