পায়রায় প্রধানমন্ত্রীকে ২০০ নৌকার অভিবাদন

পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্বাগত জানানো হয়।

সাজানো হয় পুরো এলাকা। নানা আয়োজনের মধ্যে সবার নজর কাড়ে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে রঙিন পাল তোলা ২০০ নৌকা। জেটিতে রঙিন পাল তোলা এসব নৌকা থেকে পতাকা নাড়িয়ে এবং সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানানো হয়।

ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটুয়াখালী পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর তাকে স্বাগত জানানো হয় বর্ণাঢ্য কায়দায়।

স্বাগত জানানোর পর দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ওড়ানো হয় এক হাজার ৩২০টি পায়রা।

করোনাভাইরাস মহামারির পর ঢাকার বাইরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ছাড়া এটি সরকারপ্রধানের প্রথম কোনো সফর।

প্রকল্প এলাকায় পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এর পর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘুরে দেখার পাশাপাশি এর নামফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) মালিকানায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ‘পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র’ নামে তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম অংশে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট (মোট ১৩২০) মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।

পাশাপাশি প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। এতে করে জাতীয় গ্রিডে পায়রা থেকে মোট ২৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা জানান, ২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে দুটি ইউনিটে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা লাভ করে।

তবে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ না হওয়ায় এখন একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। তবে এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ জাতীয় গ্রিডে ১৩২০ মেগাওয়াটের পুরোটাই সরবরাহ করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন আজ।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীতে আসবেন। আমরা বড় সৌভাগ্যবান যে দীর্ঘ দুই বছর পর সশরীরে আমরা তাকে পেয়েছি। প্রোগ্রামের যে কর্মসূচি রয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র শুভ উদ্বোধন করেন। সুধীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় ও পাশাপাশি সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী।