কাজী নজরুলের লেখনি জাগিয়ে তুলেছে মানুষকে : বাংলাদেশ ন্যাপ
কাজী নজরুল ইসলাম তার লেখনির মাধ্যমে জাগিয়ে তুলেছেন মানুষকে, তাই তো তৎকালীন শাসক তথা সমাজে গেড়ে বসা দুষ্টক্ষতের শিকড়শুদ্ধ উপড়ে ফেলতে তিনি যে পথ নির্দেশনা দিয়েছেন তা আজো আমাদের সঠিক পথের দিশা দিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
মঙ্গলবার (২৪ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, কাজী নজরুল ছিলেন মানুষের কবি। মানুষের দুঃখ দুর্দশা, হাসি-কান্না, সফলতা ব্যর্থতা এবং শাসক তথা সমাজপতিদের শাসন শোষণ তিনি যত কাছ থেকে দেখেছেন তা আর কোন কবি এভাবে দেখতে পারেন নি। তিনি নিপিড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রেরনা।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের লেখালেখির প্রায় পুরো সময়টা জুড়ে অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে কবিতা নামক শব্দ বোমা ফাটিয়েছেন। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গেড়ে বসা দুষ্টক্ষতের শিকড় নজরুল চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন বলেই তার ভেতরের মানুষ বা বিবেককে প্রচন্ড নাড়া দেয়। সে সময়ের প্রেক্ষাপট এবং মানুষকে সচেতন করে তাদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে সামাজিক বিপ্লবসহ প্রচন্ড একটা ঝাঁকুনির কোন বিকল্প ছিল না।
তারা বলেন, নজরুল মানুষের রক্তে শিহরণ জাগা শব্দমালা গেঁথে তিনি তাদেরকে শাসকরূপী দেশ ও মানুষের শক্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা যোগায়। বাস্তবে হয়েছেও তাই। বৃটিশ হটানো থেকে শুরু করে পাক হানাদারদের পরাজয় তারই প্রমাণ বহন করে। তার লেখনির ফসলই আজকের বাংলাদেশ। সে অর্থে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ এবং জাতির মুক্তির কান্ডারি নজরুল।
নেতৃদ্বয় বলেন, ঘুণে ধরা সমাজের মানুষকে মানবসৃষ্ট মতবাদ বা দাসত্ব থেকে মুক্তির মিছিলে সামিল করার শব্দঅস্ত্র নামক কবিতা ও গানের যুদ্ধ তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে শুরু করেছেন। আর এ যুদ্ধ পাক হানাদার ছাড়িয়ে আজকের শাসক শোষক তথা সমাজ-রাষ্ট্রের দানবদের বিরুদ্ধেও একইভাবে কার্যকর। এধারা সে যুগ পেরিয়ে শতাব্দীর পর মহাকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তারা বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা নিয়ে লিখেছেন। একজন মানুষের ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত চলার পথ এবং পদ্ধতির গাইড লাইন কেমন হওয়া উচিত-এ কবি তার লেখনির মাধ্যমে তা সর্বযুগের সময়োপযোগী করে দিয়ে গেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকের এ সময়ে আমাদের মাঝে নজরুল নাই। কিন্তু তিনি আমাদের জীবন চলার যে বিশালকর্ম রেখে গেছেন তার কিঞ্চিত যদি আমরা অনুসরণ করি তবে এ মর্মে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, আজকের পথহারা বাংলাদেশ পথের সন্ধান লাভ করবে। এ দেশের মানুষ যেমন গোলামীর জিঞ্জির ভাঙতে পারবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন