সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগ মুক্ত করা সম্ভব: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দরকার মিডিয়া যুদ্ধের। একমাত্র সচেতনা সৃষ্টির মাধ্যমেই এই রোগকে শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, বাঙালি কোনো যুদ্ধে পরাজিত হয়নি, দেশ থেকে থ্যালাসেমিয়া নির্মূলের যুদ্ধেও আমরা হারবো না। থ্যালাসেমিয়ার কারণ ও এর প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জনসচেতনাতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ব্যাপক ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হচ্ছে এই রোগের একজন বাহক আর একজন বাহককে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকা।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ইনস্টিটউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হেমাটোকেয়ারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ-জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে বাহক নির্ণয়ে গুরুত্ব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী করোনার ভয়াবহতারোধে দেশের চিকিৎসক সমাজের ভূমিকায় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে করোনায় সর্বোচ্চ মানুষ মারা গেছে । টিকা উৎপাদন বা আবিষ্কার না করেও বিপুল জনগোষ্ঠীকে টিকা প্রদানে বাাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের পাশাপাপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কিভাবে সচেতনতা তৈরি করা যায় সে বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা মুক্তি যুদ্ধ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার চলমান সংগ্রামে আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তিনি এসএমএস প্রদানের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
পরে মন্ত্রী থ্যালাসেমিয়া রোগী শনাক্তে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুর জেলায় পরিচালিত সমিতির স্ক্রিনিং প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. এম এ মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির উপদেষ্টা, প্রাক্তন মন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখত; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম-এমপি; এমিরেটাস অধ্যাপক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর এন আই খান; স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ এনামুল হক এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ টিটু মিয়া বক্তৃতা করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ডা. এম এ খান, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাফরুহা আক্তার । অনুষ্ঠানে থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী নওশীন তাজনীন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন