গাইবান্ধায় মুক্তিপণ আদয়ে ব্যর্থ হয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে খুন

গাইবান্ধায় অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরকে অপহরণের পর মুক্তিপণে পরিকল্পনা করে একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির তিন কিশোর। কিন্তু অচেতন করে অপহরণের পর যে বাড়িতে কিশোরটিকে রাখা হয় সেই বাড়ি মালিক বিষয়টি টের পেয়ে যান। পরে মুক্তিপণের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

নিহত ওই স্কুলছাত্রের নাম শিহাব। সে জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী আনিছুর রহমানের ছেলে ও বেলকা এমটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আবদুর রাজ্জাক সুমন (১৫), মো. জিন্নাহ মিয়া (১৬) মো. বাদশা মিয়া (১৫)। তাদের বাড়ি উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নে।

এর আগে গত ১৪ জুলাই রাতে শিহাবকে অপহরণ করা হয়। পরদিন বিকেলে লালচামার গ্রামের তিস্তা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার জানান, শিহাবকে ঈদুল আজহার ১৫ দিন আগে অপহরণ ও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে ওই কিশোররা। এ জন্য তারা ধুবনী এলাকায় একটি বাড়িতে রুম ভাড়া করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ১৪ জুলাই শিহাবকে বেলকা এমসি বিদ্যালয়ের পেছনে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে শিহাবকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ের মাথায় আঘাত করে অচেতন করে। এরপর সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে ধুবনীর ভাড়া করা ঘরে নেয়।

কিন্তু বাড়ির মালিক বিষয়টি টের পেলে সেখানে থেকে তাদের মুক্তিপণ চাওয়া আর সম্ভব হয় নি। তখন তারা শিবাবকে খুনের পরিকল্পনা করে। রাত আড়াইটার দিকে চোখ বেঁধে অচেতন শিহাবকে তিস্তা নদীর ঘাটে নেয়। সেখানে তাকে হাত বেঁধে একটি বস্তায় ভরে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটনে এএসপি আবদুল আউয়াল, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোখলেসুর রহমান এবং সুন্দরগঞ্জ থানার একটি টিম কাজ করেছে।