কুমিল্লায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায়, তদন্তে কমিটি

কুমিল্লার মা-ছেলেসহ তিন জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

শনিবার (২০ আগস্ট) পল্লী বিদ্যুতের বাঙ্গারা জোনের ডিজিএম (টেকনিক্যাল) মাদব নাগকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২।

কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- মুরাদনগর জোনাল অফিসের এজিএম মো. সফসাল চৌধুরী ও এজিএম ফরিদ উদ্দিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাঙ্গারা থানা অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, দুপুরে মা-ছেলেসহ তিন জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় বাঙ্গারা জোনের ডিজিএম (টেকনিক্যাল) মাদব নাগকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রাথমিকভাবে মৃতদের দাফন-কাফনের জন্য পরিবারকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে এ বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার এলখাল গ্রামের হোসনেয়ারা বেগমের নাতি রিফাত হোসেন বাড়ির পাশের একটি জমিতে শাক তুলতে যায়। ওই জমিতে বিদ্যুৎ লাইনের একটি তার ছিঁড়ে রিফাতের ওপর পড়ে। এতে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিৎকার করলে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে আটকে যান দিলে হোসনেয়ারা। এ সময় মা ও ভাগনেকে উদ্ধারের জন্য গিয়ে তারা মিয়া আটকে যান। তিনজনই ঘটনাস্থলে মারা যান।