ঠাকুরগাঁওয়ের বিয়ে পাগল হাসেম ভেন্ডার স্ত্রীর মামলায় আটক
স্বামী পরিত্যক্ততা ও বিধবা নারীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে যৌতুকের টাকা গ্রহন করে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় তার নেশা। কৌশলে বিভিন্ন প্রলোভনে নারীদের বিয়ে করে যৌতুকের টাকা গ্রহন করেন। টাকা পাওয়ার পরেই স্ত্রীকে দিয়ে দেন তালাক। এমন করে প্রায় ১২-১৩ টি বিয়ে করেছেন ঐ প্রতারক।
তিনি হচ্ছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামের মৃত. উসমান আলীর ছেলে আবুল হাসেম ভেন্ডার (৫৭)। তিনি পেশায় দলিল লেখকের কাজ করেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর আবুল হাসেম ভেন্ডারী দেবীপুর ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামের সৈয়দা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পৌর শহরের তেলীপাড়ায় কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরদিন ঐ নারীকে নিয়ে সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভেন্ডারীর নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ভেন্ডারীর বাড়িতে প্রবেশের আগেই ঐ নারীর কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ঐ নারী স্বামী পরিত্যাক্তা ও গরীব উল্লেখ করে ভেন্ডারী তাকে বাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে বেধরক মারপিট করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে প্রতারক হাসেম ভেন্ডারী বাড়ির মেইন গেটে তালা লাগিয়ে দেন। পরে এলাকাবাসী জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে আহত অবস্থায় ঐ নারীকে উদ্ধার করে হাসেম ভেন্ডারীকে আটক করেন।
পরে ঐ নারী বাদি হয়ে প্রতারক আবুল হাসেম ভেন্ডারীর বিরুদ্ধে সদর থানায় যৌতুকের দাবির মামলা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুনুর রশিদ জানান, আবুল হাসেম ভেন্ডারী একজন নারী লোভী প্রতারক। সে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ততা নারীদের বিয়ে করে থাকেন এবং পরবর্তীতে যৌতুকের টাকা দাবি করেন। সেই অভিযোগের ভিক্তিতে সৈয়দা বেগম নামে এক নারীর মামলায় তাকে আটক করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন