যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গ্যাস চুক্তির ঘোষণা দিতে পারেন সুনাক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বড় গ্যাস চুক্তির ঘোষণা দিতে পারেন।

সোমবার (৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এমন আভাস দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাজ্য সরকারের আশা, যুক্তরাষ্ট্র আগামী বছরজুড়ে প্রায় এক হাজার কোটি ঘনমিটার পরিমাণ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেবে। টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ চুক্তি–সংক্রান্ত আলোচনাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে ঘোষণা আসতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চুক্তির আওতায় ঠিক কী পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা হবে, তা নিয়ে এখনো মীমাংসায় পৌঁছানো যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তিটি প্রকাশের সময় গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ সুনির্দিষ্ট করে প্রকাশ না করা হতে পারে।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের শীতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো যুক্তরাজ্যের জ্বালানি ব্যবস্থায় কী পরিমাণ গ্যাস বিক্রি করবে, তাও এখনো পরিষ্কার নয়।ইউক্রেনে রুশ অভিযানকে কেন্দ্র করে ইউরোপ জ্বালানি সংকটের মধ্যে আছে। এ সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ১৫০০ কোটি ঘনমিটার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহে সম্মত হয়।

যুক্তরাজ্যের বহুজাতিক বিদ্যুৎ ও গ্যাস কোম্পানি ন্যাশনাল গ্রিড বলছে, দেশটি বাইরে থেকে কতটুকু গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে, তা দামের ওপর নির্ভর করছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হিসাব অনুযায়ী, তাদের তিনটি নতুন গ্যাস ক্ষেত্রে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরুর পর সরবরাহের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে। প্রতিদিন এ গ্যাসক্ষেত্রগুলো ৫৭০ কোটি ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদন করবে।

করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি আবারও সচল হওয়ার পর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্যাসের পাইকারি  মূল্য বাড়তে দেখা গেছে। এশিয়ায় এলএনজির অত্যন্ত চাহিদা থাকার কারণে এ সময়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমে যায়।

চলতি বছর প্রায় ১২টি ব্রিটিশ জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ২০ লাখের বেশি গ্রাহকের ওপর এর প্রভাব পড়ছে।