সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে এলইডি লাইটের রশ্মিতে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা!
সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলায় বিভিন্ন ব্যাটারি চালিত যানবাহনে অবৈধ এলইডি লাইটের ব্যবহার বাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভাসহ উপজেলায় ব্যাপকভাবে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি সড়ক দূর্ঘটনার বাড়ছে। প্রতিটি যানবাহনেই এলইডি হেডলাইট ব্যবহার করে আসছেন চালকগণ। এসকল হেডলাইটের তীব্র আলোয় গাড়ির অপর দিক থেকে আসা গাড়ি, ট্রাক, মোটর সাইকেল, পিক আপসহ যে কোন ধরনের যান বাহনের চালকগণ রাস্তার প্রকৃত অবস্থান বুঝতে পারে না। ফলে পৌর এলাকাসহ পুরো উপজেলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
বেলকুচি পৌরসভার তৈলপাম্প এলাকায় সুজন দূর্ঘটনার কবলে পরা ভুক্তভোগী বলেন, কেজির মোড় থেকে সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল যোগে বাড়িতে ফেরার সময় সুবর্ণসাড়া তৈল পাম্প এলাকা পাচ হওয়ার পর তখন অপর দিক থেকে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা আমাকে ধাক্কা দিলে আমি মারাত্মক ভাবে আহত হই। অটোরিকশায় ছিল সাদা আলোর এলইডি হেড লাইট। রাতে উজ্জ্বল আলোর রশ্মিতে অপর দিক থেকে আসা, কি ধরণের যানবাহ তা চোখে পড়েনি। আর এতেই আমি দুর্ঘটনার শিকার হই।
উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সিএনজি চালক শাহাদাত হোসেন বলেন, এলইডি লাইট ব্যবহারে ফলে রাস্তায় চলাচল করা অনেক কঠিন হয়ে পরছে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক ভাবে লাইটের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।
বেলকুচি উপজেলা ও পৌর অটোভ্যান রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রমজান সিকদার জানান, অটোরিক্সা ক্রয় করার সময় গাড়ির সাথে যে লাইট দেয়া থাকে সেটার আলোতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু চালকগণ অধিক আলোর জন্য এলইডি হেডলাইট লাগিয়ে গাড়ী চালায়। এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায় এবং প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, এধরণের এলইডি হেডলাইট ব্যবহার অবৈধ এবং এলইডি হেডলাইট না লাগানোর জন্য প্রচার-প্রচারনাও করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, গাড়িতে এলইডি লাইটের ব্যবহার নিয়ে এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন