এবছর মিনিমাম বেতন ২০ ডলার করব: নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জেসিকা রামোস

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর এবং স্টেট সিনেট লেবার কমিটির চেয়ার জেসিকা রামোস নিউইয়র্ক সিটির খেটে খাওয়া মানুষদের ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর লক্ষ্যে গত বছরই বিল তুলেছিলেন।

কিন্তু খুব বেশিদূর এগোয়নি। সম্প্রতি ড্যাটা ফর প্রোগ্রেস’র একটি জরিপের বরাত দিয়ে সিনেটর রামোস জানিয়েছেন বিপুল সংখ্যক নিউইয়র্কবাসী আমার ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির বিলটির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। উক্ত জরিপে নিউইয়র্ক স্টেটের ৭৬% ভোটার আমার প্রস্তাবিত ২০২৬ সাল পর্যন্ত ন্যূনতম বেতন ২০ ডলার করার অনুমোদন দিয়েছেন। সবচেয়ে জরুরী হলো, দুই প্রধান দলের ভোটাররাই ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির বিলটিতে সমর্থন জানিয়েছেন।

সিনেটর রামোস বলেন, সবক্ষেত্রেই যখন বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা দ্বিধাবিভক্ত তখন এই বিষয়ে সকলেই একমত। কেন আমরা ঐক্যবদ্ধ তাও বুঝি। সারা দেশে এবং বিশেষ করে নিউইয়র্ক স্টেটে জীবনযাপনের যে খরচ বৃদ্ধি, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বাড়েনি। গত চার দশকের মধ্যে নিকৃষ্টতম মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে খাদ্যমূল্য, বাড়ি ভাড়া।

সিনেটর জেসিকা রামোস বলেন, আমার বিলটিতে নিউইয়র্ক স্টেটসহ নিউইয়র্ক সিটির মত অতি উচ্চমূল্যের সিটিতে যাতে ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বৃদ্ধি ঘটে তার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মজুরী বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা আমার #RaiseTheWage  নামক বিলটি নিরিক্ষা করে বলেছেন, ৩০ লক্ষ মানুষের জন্য মাথাপিছু অবিলম্বে বছরে ৩৩০০ ডলার বাড়ানো উচিত। এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন নারী ও কৃষ্ণাঙ্গ-বাদামি কর্মজীবীরা।

সিনেটর রামোস বলেন, বেতন বাড়ানো মানে শুধু আর্থিক সুবিধা প্রদান নয়, এর ফলে ক্রাইমও কমে যায়। কর্মজীবী মানুষের হাতে বেশি অর্থ থাকা মানে তা শেষ পর্যন্ত কম্যুনিটিতেই ফিরে আসে।

তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে আজ যে ন্যূনতম বেতন ১৫ ডলার প্রতি ঘন্টায়, তা নির্ধারণ করে বিল পাশ হয়েছিল ৫ বছর আগে। তখনকার চেয়ে এখনকার মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। তখন চিন্তা করা হয়নি আমেরিকার অর্থনীতি ৫ বছর পর কোন্্ অবস্থানে থাকবে।

সিনেটর রামোস বলেন, ২০২৩ সালে অলবেনিতে আমার প্রধান কাজ হবে ঘন্টায় ন্যূনতম মজুরীর বিল পাশ করা। আর সে #RaiseTheWage হ্যাশট্যাগ নিয়ে কাজ করছি।