পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আবারও হিমেল বাতাসে কনকনে শীতের প্রভাব বেড়েছে

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আবারও হিমেল বাতাসে কনকনে শীতের প্রভাব পড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে ঘনকুয়াশার সঙ্গে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এর আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পঞ্চগড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়ায় শীতের তীব্রতাও কমতে থাকে। কিন্তু গেলো দুইদিন ধরে আবারও শুরু হয় ঘনকুয়াশা ও বাতাস। শুক্রবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়তে থাকে। সেইসঙ্গে ছিল বাতাসের প্রবাহ।

শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল পঞ্চগড়। সঙ্গে হিমশীতল বাতাসের কারণে কনকনে শীত অনুভূত হয়। তবে সকাল ৯টার পর সূর্যের দেখা মেলে। আর বেলা বাড়া সঙ্গে কুয়াশাও কেটে যায়। ঝলমলে রোদে স্বস্থ ফিরে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের মনে।

উপজেলার কালদাসপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিন বলেন, কয়েক দিন ধরে মনে হচ্ছে শীত বুঝি চলে গেলো। কিন্তু দুইদিন ধরে আবারও কনকনে শীত লাগছে। প্রতিদিন ভোরে জমিতে কাজ শুরু করি। আজ (শনিবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্বাভাবিক কুয়াশা ছিল। ১০ হাত দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তবে ৯টার পর থেকে সূর্যের আলোর দেখা মিললে ঘনকুয়াশা এবং শীতের তীব্রতাও কমে যায়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, শনিবার সকালে সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দুইদিন ধরে রাতে ঘনকুয়াশা শুরু হয় এবং পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। আগামী দুই-একদিনে শীত আরও কমে যেতে পারে।