ঢাকার সাভারের আশুলিয়া প্রেসক্লাবে সদস্যদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে সাংবাদিকরা।

রোববার (১৪ মে) দুপুর থেকে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করে সর্বশেষ নতুন নেওয়া সাংবাদিক সদস্যরা ।

এসময় প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে নতুন স্থায়ী সদস্যদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা করার প্রতিবাদ ও প্রেসক্লাবের বাকি সদস্যদের মত সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত দাবি জানান সংবাদকর্মীরা৷

অবস্থান কর্মসূচিতে প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক আল-মামুন খান বলেন, দুই বছর আগে প্রেস ক্লাবে নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞাপ্তি দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক আমরা নতুন সদস্য ফরম পুরোন করে জমা দেই। তারপর প্রেসক্লাবের কেবিনেটসহ সিনিয়র নেতারা আমাদের ১৬ জন সদস্যকে নানা ভাবে যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণ সভা করে তারপর বৈধ ভাবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্য পদ দেওয়া হয়। এবং সেই চুড়ান্ত তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। আমরা জানি স্থায়ী সকল সদস্য নির্বাচনে ভোট দিতে পারে ও সকল সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে। কিন্তু আমরা স্থায়ী সদস্য হয়েও কেনো ভোট দিতে পারবো না? আমাদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

আরেক সাংবাদিক লিটন হাওলাদার বলেন,কি আমাদের অন্যায়। আশুলিয়া প্রেসক্লাবের গত ২০২১-২২ এর ৭ম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের নির্বাচিত ক্যাবিনেটের সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে আমরা স্থায়ী সদস্য পদ লাভ করি। তাহলে আজ আমরা কেনো নোংরা রাজনীতির স্বীকার হতে চলেছি৷ কেন নির্বাচনের আগে এসে আমাদেরকে কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে ভোটাধিকার থেকে বাদ দেওয়া হলো। আমরা সমস্ত পরীক্ষায় উর্ত্তীন্ন হয়ে বৈধ সদস্য পদ লাভ করেছি। তাহলে কেন আমরা ভোট দিতে পারবো না? আমরা চাই আমাদের ভোট প্রয়োগ করতে৷ তাই এই অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এবিষয়ে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো.জহিরুল ইসলাম খান লিটন বলেন, আমরা এই নতুন সদস্যদের সম্পুর্ণ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পরে তাদেরকে প্রেসক্লাবে স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। তারা পূর্ণ ভোট দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে একটি ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও আমাদের উপদেষ্টা এবং সভাপতির সাথে আলোচনা করবো।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন-আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সাগর ফরাজী, শামীম হাসান শীমান্ত, সোহান আহামেদ সানাউল, মামুন মোল্লা, লিটন হাওলাদা, ফরহাদ হোসেন, মৃদুল সূত্রধর, জহিরুল ইসলাম।