যুক্তরাষ্ট্রে টাইটেল ৪২’র মেয়াদ শেষ হাওয়ার আগেই

হাউজে অবৈধদের বিরুদ্ধে কঠোর বিল পাশ

করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্রে মেক্সিকো সীমান্ত পথে এসাইলাম প্রার্থীদের আসা বন্ধ ও অবৈধ ইমিগ্রান্টদের ডিপোর্টেশন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘টাইটেল ফর্টি টু হেলথ পলিসি’ নামে একটি সাময়িক আইন জারি করেন।

সেই টাইটেল ফর্টি টু’র মেয়াদ শেষ হয়ে গেল বৃহস্পতিবার ১১ মে। আর শেষ হওয়ার আগে থেকেই হাজার হাজার এসাইলাম প্রার্থী মেক্সিকো সীমান্তে জড়ো হতে থাকে। তাদের প্রত্যাশা উক্ত নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সাথে সাথে তারা আমেরিকার সীমান্তে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করবে। কিন্তু রিপাবলিকানরাও প্রস্তুত ছিল। বৃহস্পতিবার টাইটেল ফর্টি টু আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাদের নিয়ন্ত্রিত হাউজে ‘সিকিউর দ্য বর্ডার এ্যাক্ট’ নামে একটি বিল তড়িঘড়ি করে পাশ করে। ২১৯-২১৩ ভোটে পাশ হওয়া এই বিলে কোনো ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসসদস্য ভোট দেননি। তবে এই বিলটি সিনেটে পাশ হওয়ার সম্ভাবনা কম।

এই বিলে বলা হয়েছে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার এসাইলাম প্রার্থীর ঢুকে পড়া রুখতে এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অবৈধ এবং যাদের গ্রিনকার্ড নেই এমন মাইগ্রেন্টদেরও ডিপোর্টেশন করা হবে। হাউজ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির চেয়ার টেনিসি থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান মার্ক গ্রিল বলেন, যারা সীমান্ত টপকিয়ে কিংবা সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকছে তাদের জন্য বাইডেন প্রশাসন নানা ইনসেনটিভ প্রদান করছে। প্রেসিডেন্টের এইসব ইমিগ্রান্ট বিষয়ে মানসিকতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই বিলটি পাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই বিলে ভেটো দিলে তার পরিণতি খুবই খারাপ হবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান টম ম্যাকক্লিনটক বলেন, টাইটেল ফর্টি টু’র মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি প্রতিদিন গড়ে ১০,০০০ অবৈধ ইমিগ্রান্টকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার অনুমতি দেয় বাইডেন প্রশাসন, তাহলে টাইটেল ফর্টি টু শেষ হওয়ার পর কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে? কারণ ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ এসাইলাম প্রত্যাশী মেক্সিকোতে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে এসে ভিড় জমিয়েছে।

বিলে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে বলা হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন যে সীমান্ত দেয়াল তৈরি শুরু করেছিল, তা যেন পুনরায় শুরু করা হয়। তাছাড়া সীমান্তে আরো ২২,০০০ বর্ডার পেট্রোল এজেন্ট নিয়াগ দিতে হবে।

নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান হাকিম জেফরি এনবিসি নিউজকে বলেন, আসলে এই বিলটির নাম হওয়া উচিত ‘চাইল্ড ডিপোর্টেশন এ্যাক্ট’। এই বিলটি রিপাবলিকানদের ‘এক্সট্রিম’ বিল। তিনি বলেন, দেয়াল তুলে ইমিগ্রেশন সমস্যার সমাধান করা যাবে না।

কংগ্রেশনাল হিস্পানিক ককাসের চেয়ার ডেমোক্রেটিক সদস্য ন্যানেট বারাগানও রিপাবলিকানদের এই বিলটিকে ‘এক্সট্রিম রিপাবলিকান ক্রুয়েলটি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ইট’স এ্যান্টাই ল্যাটিনো, এ্যান্টাই ইমিগ্রান্ট, এ্যান্টাই আমেরিকান। তিনি এখনই মানবিক কম্প্রিহেনসিভ ইমিগ্রেশন রিফর্ম বিল পাশ করার আহবান জানান।