মিথ্যা অভিযোগ করে শিক্ষার্থীর উপর হামলা জবি ছাত্রলীগের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ষোল ব্যাচের শিক্ষার্থী সৌরভ বিশ্বাস এর উপর হামলা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর ১ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সৌরভ প্রেশার মাপার পর চেয়ার ছেড়ে না দিয়ে পরামর্শ করতে গেলে সিনিয়র দুই মেয়ে শিক্ষার্থী (সামিরা মাহমুদ ১২ তম আবর্তন উদ্ভিদবিজ্ঞান, রিসাত আরা ১৪ তম দর্শন বিভাগ) নানা রকম প্রশ্ন করে অসুস্থ সৌরভকে তর্কে জড়ায়। কেউ ই তখন কারো পরিচয় জানতো না। এ অবস্থায় কথা কাটাকাটি হলে সৌরভকে মেডিকেল সেন্টারের বাইরে ডেকে আনা হয়। আর তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ডেকে নানা রকম প্রশ্নের মুখে ফেলে মারার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা ( ইকবাল মাহমুদ রানা ১৫ ব্যাচ অর্থনীতি বিভাগ, মিলন মাহফুজ ১৫ ব্যাচ ও আতিক ১৪ ব্যাচ, সৈকত, মিনন মাহফুজ, মিরাজ হোসাইন, সজীব বুদ্ধসহ আরও বেশ কয়েকজন) ধাপে ধাপে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে অনেকে মিলে মাটিতে ফেলে মারধুর করে। প্রাণে বাঁচার জন্যে বিভাগে গেলে সেখান থেকে মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়। তখন মেডিকেল সেন্টার থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে আবার মারধর করা হয়।
অপরদিকে মেয়ে শিক্ষা দুইজন (সামিরা মাহমুদ ১২ তম আবর্তন উদ্ভিদবিজ্ঞান, রিসাত আরা ১৪ তম দর্শন বিভাগ) এর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট থেকে জানা যায় সৌরভের জনসম্মুখে ইভটিজিং এর কথা। এমনকি গায়ে হাত তুলার কথাও বলেন তারা। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ বিষয়ে সমালোচনা করলে তারা ফেইসবুক পোস্ট এর প্রাইভেসি চেঞ্জ করে দেয়।
সামিরা মাহমুদ মিথী তার অভিযোগপত্রে বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আমাদের মেডিকেল সেন্টারে যাই সেখানে আমি এবং আমার এক জুনিয়র রিসাত আরা (১৪ বাচ, দর্শন বিভাগ), ১৬তম ব্যাচের রসায়ন বিভাগের সৌরভ নামের এক ছেলের দ্বারা প্রথমত বেয়াদবি মূলক আচরণ পাই, তাপর অকথ্য ভাষায় গলাগালি এবং যৌন-হয়রানি মূলক ইঙ্গিত দেয়, সাথে তোকে দেখে নিবো এরকম হুমকি প্রদান করে৷ আমি ১২তম ব্যাচ জানার পরেই তোকে খেয়ে ফেলবো ব্যাচ জানার প্রয়োজন নেই এমন ভাষায় কথা বলে।
এ বিষয়ে সৌরভ বলে,”ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওরা মিথ্যা গল্প বানিয়ে প্রক্টর অফিসে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।আর ওনারা ফেসবুকে যে পোস্ট দিছে তা যে মিথ্যা তার প্রমাণ ওনাদের সাথে যে ছেলে ছিলো তার কথা ওনারা কোথাও উল্লেখ করে নায়।”
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন বলেন, ” এ ছেলে ইভটিজিং করেছে। তখন মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে ছেলেরা ওকে মারধর করেছে হয়তো। আমি ঘটনা স্থলে ছিলাম না। বিষয়টি আমি দেখবো।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন,” বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আমার কাছে লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করে আমি ব্যবস্থা নিবো।”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন