ভারতের মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মঞ্চে টানা তিন ম্যাচ জিতে ভারত যদি উড়ন্ত অবস্থায় থাকে তাহলে টানা দুই ম্যাচে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়। শুধু কি বিধ্বস্ত? ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দল গঠনে বিতর্ক সৃষ্টি, ঘরে-বাইরে নানা সমালোচনার ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশ কি ধ্বংসাবশেষ থেকে নতুন করে উঠে আসতে পারবে আজ? ফুরফুরে থাকা ভারতের মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ। পুনে শহরে খেলা শুরু হবে বেলা আড়াইটায়।
বাংলাদেশ বলে গিয়েছিল সেমিফাইনালের কথা। সেই কথা ধরেই যদি বলা হয় তাহলে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ জয় দরকার। সাধারণ দর্শক সেমির কথা ভুলেই গেছে। চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর হাতে পাঁচ দিন সময় পেয়েছে। এক দিন চলে গেছে পুনেতে পৌঁছাতে। পরের দুই দিন বিশ্রামে ছিল যেন ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে শক্ত হতে পারেন।
আর গত দুই দিন অনুশীলন করেছেন। এর মধ্যে দলের সবাই যখন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ইনজুরি নিয়ে হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ তখন লিটনকাণ্ড ক্রিকেটঘরে জ্বালা ধরিয়েছে। এর মধ্যে নিজেদের ঘরে আগুন লাগার কথাও শোনা গেছে। কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে অধিনায়ক সাকিবের মধ্যে আগুন লেগেছে। দল গঠন নিয়ে এক জন আরেক জনকে দোষ দিচ্ছেন। সবই গুঞ্জন। এত অগোছাল একটা দল এর মধ্যে কতটা গুছিয়ে উঠেছে সেটাই আজ মাঠে প্রমাণ হবে ভারতের বিপক্ষে। ভারতকে খারাপ খেলতে হবে এবং বাংলাদেশকে অসাধারণ পারফরম্যান্স করতে হবে।
বাংলাদেশে শিবিরে সবচেয়ে বড় টেনশন অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে। গতকাল সন্ধ্যায় সাকিবকে আরেক দফা স্ক্যান করাতে হয়েছে। উরুর পেছনে চোট। একদিকে কিছুটা স্বস্তি। সাকিব নিজেও খেলতে চান। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট দেখছে হাতে সময় আছে। সাকিবও সেটাই ভাবছেন। স্ক্যান করিয়ে কী পাওয়া গেল সেটা প্রকাশ করেনি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। এ কারণে সেটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও কিছু বলা হয়নি। স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়া গেলে তখন জানা যাবে বলে কোচ হাথুরুসিংহে নিজেও সাকিব ইস্যু সংবাদ মাধ্যম থেকে আলাদা করে রাখলেন। প্রতিপক্ষ ভারতও টেনশনে।
তারাও জানতে চাইছে সাকিব খেলবেন কিনা। সাকিব থাকলে একরকম পরিকল্পনা আর না থাকলে আরেকরকম। টসের আগে টিম ঘোষণার সুযোগ থাকলে বাংলাদেশ কেন সেই সময়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না। কারণ এই সময়টায় সাকিবের কতটা উন্নতি হলো, সাকিব থাকলে তিনি দলের জন্য কতটা দিতে পারবেন। না থাকলে কীভাবে প্ল্যান করবেন। টিম ম্যানেজমেন্ট ঘোষণা না করলেও অনুমান করা যায় সাকিব খেলবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে সাকিব মাঠে নামলেও নিজেকে কতটা দিতে পারবেন সেটাই বড় প্রশ্ন। সাকিব যদি মাঠে নেমেও পুনরায় চোটের জায়গায় অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে বিকল্প কী হবে সেটা একটা ভাবনা।
সাকিব নিজে খেলতে চাইছেন, কারণ গত মাসে এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবে। হোক সেটা, ভেন্যু ভারতের। রোহিত, কোহলিরা ভালো জানেন বাংলাদেশ জ্বলে উঠতে পারে। বিরাট বলেই দিয়েছেন অভিজ্ঞতায় সাকিবের ভাণ্ডার পূর্ণ। বল হাতে দাপট দেখায়। রান দেয় কম।’ আর বিরাট সম্পর্কে সাকিব বলেছেন, ‘বিরাট স্পেশাল ব্যাটার। আমাদের সময়কার সেরা এক জন ব্যাটার।’ ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ভারতের বিপক্ষে। আর শেষ তিনটা বিশ্বকাপে তিন বারই হেরেছে বাংলাদেশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন