রংপুরে শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হলেন এসআই ইমরান

রংপুরে সেপ্টেম্বর মাসের কার্য সম্পাদনে মিঠাপুকুর থানায় কর্মরত এসআই মোঃ ইমরান হোসেন জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রংপুর জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক আয়োজিত জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সেপ্টেম্বর মাসে ৪ টি সাজা তামিল ও ১৮টি ওয়ারেন্ট তামিল/নিষ্পত্তি ও অন্যান্য ওয়ারেন্ট সহ সামগ্রিক মূল্যায়নে তিনি নির্বাচিত হন।

জানা যায়, এসআই মোঃ ইমরান হোসেন মিঠাপুকুর থানা পুলিশে যোগদানের পর থেকেই ডি সার্কেল জনাব আবু হাসান মিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় ওসি মোস্তাফিজার রহমানের নেতৃত্বে বিট পুলিশিং কার্যক্রম, পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতার, এলাকার মাদক, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, অবৈধ জমি দখলসহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে পুরষ্কৃত হলেন এই সাহসী অফিসার মোঃ ইমরান হোসেন।

এ বিষয়ে এসআই মোঃ ইমরান হোসেনের কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, আমি এ সম্মাননা ও পুরষ্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত। এ পুরস্কার আমার মা-বাবার কাছে উৎসর্গ করছি।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কারে আমার স্পৃহা আরো বাড়বে। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করতে এবং আমি কখনও অন্যায়ের সাথে আপোষ করি না। অন্যায়কারীকে আমি কখনো ছাড় দেই না। আমাকে পুরষ্কৃত করার জন্য পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ থানায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, সকলের ভালোবাসা নিয়ে নব উদ্যমে আরও ভালো কাজ করে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে দোয়া এবং আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এসআই মোঃ ইমরান একজন দক্ষ ও অত্যন্ত পরিশ্রমী অফিসার। আগামীতে সে আরও ভালো করবে। আমি তার সফলতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, তিনি রংপুর জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক বেশ কয়েকবার শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছিলেন।তাছাড়া ১৪ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সরকারি বেসরকারি অফিসে চুরির ঘটনায় চোরদের গ্রেফতার করে মালামাল উদ্ধার সহ মূল ঘটনা উদঘাটন করেছেন। যার ফলে অত্র ইউনিয়নসহ মিঠাপুকুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে চুরি ও ছিনতাই অনেকটাই কমে গেছে।