বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের কাছে প্রশ্ন করা হয়- বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দলীয় প্রায় ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে এবং গত ছয় দিনে জেলে থাকা বিরোধী দলীয় ৩ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে বিরোধী অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিএনপিসহ অনেক দল নির্বাচন বয়কট করেছে- এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত কী? বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ম্যাথু মিলার নির্বাচনের ফলাফল আমরা অনুমান করতে চাই না। এর আগেও আমরা অনেকবার বলেছি, বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গলের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাতে আমরা সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। তিনি আরও বলেন, আগেও বলেছি এবং এখন বলছি আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যা দেশটির জনগণেরও চাওয়া।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি রোববার ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তার তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এবং যাচাই বাছাইয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন