সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও চৌহালীতে দুই সাবেক চেয়ারম্যানকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির শোকজ

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের বেলকুচিতে আতাউর ও চৌহালীতে কাহার চেয়ারম্যানকে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে নিয়ে আচরনবিধি লংঘনমুলক বক্তব্য দেয়ায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা আওয়ামীলীগ নেতা আতাউর রহমানকে শোকজ নোটিশ প্রদান করেছেন।

বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ সোহেল রানা এ নোটিশ প্রদান করেছেন। আতাউর রহমান রাজাপুর ইউনিয়নের মৃত মনতাজ আলীর ছেলে এবং রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

কিছুদিন পুর্বে আতাউর রহমান আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মমিন মন্ডলের পক্ষে এক নির্বাচনী প্রচারণা ও সমাবেশে আতাউর রহমান বক্তব্যে বলেছেন ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস যাতে ভোট চাইতে না পারে সেরকম পরিবেশ সৃষ্টি করবেন, এবং ‘৭ জানুয়ারির পরে নিচে মাটি দিয়ে হাঁটবেন না ৭ই জানুয়ারির পরে তাকে চলে যেতে হবে মঙ্গল গ্রহে”।

তার বক্তব্যটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অধিক্ষেত্রের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২এর অনুচ্ছেদ ৭৩ ও ৮৪ক এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ধারা ১১(ক) এর লঙ্ঘন হয়েছে মর্মে আপাতত দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয়েছে। নোটিশে আগামী ২৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত-এর কার্যালয়, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ভিডিওতে লতিফ বিশ্বাস ও তার স্বজনদের নিয়ে বিষোদগার করা হয়েছে।

একই দিনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলকে নিয়ে আচরনবিধি লংঘনমুলক বক্তব্য দেয়ায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা আওয়ামীলীগ নেতা ও চৌহালী বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাহার সিদ্দিকীকে শোকজ নোটিশ প্রদান করেছেন।

বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী জজ মো. সোহেল রানা এ নোটিশ প্রদান করেছেন। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পক্ষে শম্ভুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এক নির্বাচনী প্রচারণা ও সমাবেশে আব্দুল কাহার সিদ্দিকীর বক্তব্যে উস্কানি মুলক বক্তব্যে দেয়ায় তার বক্তব্যটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অধিক্ষেত্রের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২এর অনুচ্ছেদ ৭৩ ও ৮৪ক এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ধারা ১১(ক) এর লঙ্ঘন হয়েছে মর্মে আপাতত দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয়েছে।

নোটিশে আগামী ২৬ ডিসেম্বর দুপুর ১১টায় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত-এর কার্যালয়, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ভিডিওতে মমিন মন্ডলকে নিয়ে বিষোদগার করা হয়েছে। দুটি নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র সহকারী জজ মো. সোহেল রানা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বা সমর্থকরা যেন আচরন বিধি লংঘন না করেন সেদিকে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।