কেউ নমিনেশন না পেলে মন খারাপ করবে না, অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেব : প্রধানমন্ত্রী
‘কেউ নমিনেশন পাবে কেউ পাবে না। এতে মন খারাপ করবে না। এবারে না পারলে পরেরবার। একবার না পারিলে দেখ শতবার। এক জায়গায় না পারিলে অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেব।’
বুধবার সকালে গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় দেড় হাজারের বেশি নারী প্রার্থী সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে আমি নারী নেতৃত্ব তৈরি করেছি। বিএনপি-জামায়াতের দ্বারা আমাদের বহু নেতাকর্মী নির্যাতিত। বিএনপি-জামায়াত দেশের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু। তারা নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। বিপ্লব করতে করতে বিএনপি ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাচ্ছে।
নারী প্রার্থীদের বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আজি বসন্ত, আমার গণভবন ফুলে ফুলে সজ্জিত। গণভবনে আপনারা এসেছেন। আমার গণভবন ধন্য হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি জানি সবাইকে হয়তো সংসদ সদস্য বানাতে পারবো না। কিন্তু অন্যান্য জায়গায় তাদের আমি বসানোর চেষ্টা করি যেমন সংগঠন। তাদের জায়গা করে দেই।
নারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ জায়গা করে দিতে চায় না। জায়গা করে নিতে হয়। সংগঠন করতে হয়। মানুষের জন্য কাজ করতে হয়। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। আপনারা সেটা করবেন। আমাদের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ করব, আমরা সেটা করেছি। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এখন আমাদের টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণ কোনো দিক থেকে পিছিয়ে থাকবে না। সবদিক থেকে এগিয়ে থাকবে। আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে আসার পর আমার যাত্রাপথ সহজ ছিল না। প্রতি পদে পদে বাধা। বৈরী পরিবেশ। কিন্তু মানুষের ভালোবাসাই ছিল আমার একমাত্র শক্তি। আর সেই শক্তি নিয়েই আমি পথ চলছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একসময় অবহেলার চোখে দেখা হতো। এখন বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।
নারীর ক্ষমতায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারীরা অবহেলিত ছিল। নারীর ক্ষমতায়নে আমি কাজ শুরু করি। প্রশাসনে বড় কোন পদে নারীরা ছিল না। নারী সচিব ছিল না। নারী বিচারপতি ছিল না। পুলিশের বড় পদে ছিল না। সেনাবাহিনীতে ছিল না। আমি সব ব্যবস্থা করে দেই। ব্যবস্থা নিয়ে আমি নারীদের প্রতিটি জায়গায় স্থান করে দেই। এখন সমাজের প্রতিটি জায়গায় নারীরা জায়গা করে নিয়েছে। এখন মেয়েদের যেখানেই আমরা দেই, সেখানেই তারা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে। মেয়েদের পরীক্ষাতে রেজাল্ট এখন অনেক ভালো হয়। খেলাধুলাতেও মেয়েরা এখন অনেক এগিয়ে। আজকে মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হয়। এসময় মুন্সীগঞ্জে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক দেওয়ায় তার সফলতার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন একজন নারী, সেই কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিবি খাদিজা সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সেটা মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪৮টা নারী আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৫০০-র বেশি প্রার্থী। এটা কিন্তু কম কথা নয়। হ্যাঁ, এখানে সবাই যোগ্য। এটা সবাই জানে যে অনেকেই মনোনয়ন পাবে না, সেটা জেনেও ফর্ম কিনেছেন। এই সাহসটাই অনেক বড়। এটাই প্রমাণ করে যে নারীরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন