বগুড়ার শিবগঞ্জে মানবিক সহযোগিতা বাঁচাতে পারে বিকাশের জীবন
অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান বিকাশ (১৯)। বাড়ি তার বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের আলোকদিয়া (কৃষ্ণপুর) গ্রামে। বিকাশ পড়ালেখার পাশাপাশি পারিবারকে সহযোগীতা করার জন্য নরসুন্দরের কাজ করতেন। অল্প বয়সে দাড়িয়ে থেকে কাজ করার কারণে তার দু’পায়ের হিপ জয়েন্টে সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসার অভাবে বর্তমানে সে আর হাটতে পারেনা। এ অবস্থায় এবার দিয়েছে এসএসসি পরীক্ষা।
তার পিতা শ্রী সিতারাম রবিদাস শিবগঞ্জে ফুটপাতে জুতা সেলাই করে অনাহারে অর্ধাহারে জীবনযাপন করে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থার কারণে বিকাশের পরিবার তার চিকিৎসা করাতে পারছেনা। চিকিৎসার জন্য হাতপাতে সমাজের বিত্তবানদের দ্বারে।
ছেলের জীবন বাঁচাতে ছুটে যায় স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রসহ বিভিন্ন বৃত্তবানদের কাছে। এতেও মেলেনি কোন সহায়তা। অর্থের অভাবে সু-চিকিৎসা না হওয়ার বাড়িতেই জীবনের সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বিকাশ। অবস্থান করছে। লাঠির উপর ভর করে অতিকষ্টে জরুরী কাজ সাড়তে হয় তাকে।
বিকাশের বাবা সিতারাম রবিদাস বলেন, আমি গরীব মানুষ। ডাক্তার বলেছে আমার ছেলের দুই পায়ের হিপজয়েন্টে নষ্ট হয়েছে। অপারেশন করাতে হবে। বর্তমানে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে পতিত হচ্ছে আমার ছেলে বিকাশ। বাবা হিসেবে আমি তা মানতে পারছিনা আবার কিছু করতেও পারছিনা। বৃত্তবানদের মানবিক সহযোগিতা পেলে বিকাশের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
যে বয়সে দৌড়ঝাপ ও লেখাধুলা করে জীবন কাটতো তার। কিন্তু ভাগ্যের কাছে হার মেনে সে অসুস্থ্য হয়ে বিছায় কাটাচ্ছেন। আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। আমার ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বৃত্তবানদেরকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন